কুমিল্লার তিতাসে চাঞ্চল্যকর ইমতিয়াজ মান্না (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
গ্রেফতাররা হলেন, বরিশালের কাজিরহাট উপজেলার ছৈয়মতকতা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ছেলে মো. সোহেল ইসলাম (৪০), তার ছেলে মো. শাহিন ইসলাম (১৯) ও সোহেল ইসলামের মামা হানিফ হাওলাদার (৬১)।
এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, গত ১২ জুলাই সড়কের পাশ থেকে যখন মান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, তখন কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পরপরই ছায়া তদন্তে নামে পিবিআই। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেফতার সোহেল ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান, তার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ইমতিয়াজ মান্না শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। বিষয়টি জানার পর তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ছেলে শাহীন ইসলাম, মামা হানিফ হাওলাদার ও ভিকটিম ইমতিয়াজ মান্নাকে নিয়ে তারা এক সঙ্গে ঘুতে বের হন। একপর্যায়ে কুমিল্লার তিতাসে এনে গাড়ির মধ্যেই প্রথমে শ্বাসরোধ করে পরে হত্যা নিশ্চিত করতে গলাকাটা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোহেল ইসলামসহ গ্রেফতার তিনজন হত্যার কথা স্বীকার করে কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১২ জুলাই সকালে কুমিল্লা তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি হোমনা-গৌরীপুর আঞ্চলিক সড়কের পূর্ব পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত মান্না বরিশালের কাজির হাট উপজেলার পূর্ব রতনপুর গ্রামের দুলাল হাওলাদারের ছেলে। ঘটনার পর দিন দুলাল হাওলাদার বাদী তিতাস থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ