রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তার প্রশাসনে কারা যুক্ত হচ্ছেন তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। ট্রাম্প প্রশাসনে যে মুখগুলোকে দেখার সম্ভাবনা জোরদার হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে কমপক্ষে তিনজন কট্টর ‘মুসলিম-বিদ্বেষী’ থাকছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নিয়ে গোটা মুসলিম দুনিয়ায় রীতিমতো উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন পশ্চিম এশিয়া ও জন্মসূত্রে বিশাল সংখ্যক মার্কিন মুসলিম নাগরিক।
'মুসলিম-বিদ্বেষী' ওই ‘মুখগুলোর মধ্যে রয়েছেন ট্রাম্পের সম্ভাব্য উপদেষ্টা বা ট্রাম্পের ভাবী মন্ত্রিসভার সদস্য। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে তিনটি নাম। নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল, সিআইএ-র ডিরেক্টর ও সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
হোয়াইট হাউসের কয়েকজন বিদায়ী ও নতুন আমলা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, 'ট্রাম্প প্রশাসনে তাদের যুক্ত হওয়ার ফলে আমেরিকার ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে পরিচিত আরব দেশগুলোর সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যেতে পারে। সেটা আরও বেশি উদ্বেগের এই কারণে যে, ওই আরব দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযান চলছে।'
মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাবী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করায় সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন মুসলমানরা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা এজেন্সির সাবেক প্রধান ফ্লিন এর আগে বেশ কয়েকবার মুসলিমদের ‘ক্যান্সার’ রোগের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, '‘আমেরিকায় মুসলিমদের সম্পর্কে যে ভয়টা রয়েছে তা রীতিমতো যুক্তিযুক্ত।'
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তির দ্বিতীয় কারণ হচ্ছেন, সেনেটর জেফ সেশন্স। ট্রাম্প যাকে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বেছে রেখেছেন। যিনি প্যারিস হামলার ঘটনার পর আমেরিকায় সাময়িকভাবে মুসলিম অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন। আর ইসলাম ধর্মকে বলেছিলেন ‘বিষাক্ত মতাদর্শ’।
তাদের অপছন্দের তৃতীয় কারণ, ট্রাম্প যাকে সিআইএ-র নতুন ডিরেক্টর করতে চলেছেন, সেই মাইক পম্পিও। যিনি মিশরের একটি মুসলিম সংগঠন ‘মুসলিম ব্রাদারহুড'কে মার্কিন মুলুকে নিষিদ্ধ করার বিলটি আনার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৮