ভারতজুড়ে ৫০০, ১০০০ রুপির নোট বাতিলের টালবাহানার মধ্যেই দেশটির ছয়টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের ৪টি লোকসভা কেন্দ্র ও ১০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন শান্তিতেই শেষ হল। লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২টি এবং অসম ও মধ্যপ্রদেশের ১টি করে কেন্দ্রে ভোট হয়। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর তামিলনাড়ু ৩টি, ত্রিপুরার ২টি, অাসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ এবং অরুণাচল প্রদেশ ও কেন্দ্র শাসিত রাজ্য পডুচেরির ১টি করে কেন্দ্রে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় শেষ হয় বিকাল ৫টায়। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ও শান্তিতে ভোট দিতে পারেন তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন। আধা সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সব ধরনের পুলিশই মোতায়েন ছিল। যদিও বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর ঘটে।
এবারের এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যুই ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। বিরোধীদলগুলি এই ইস্যুকে প্রচারণার হাতিয়ার করলেও বিজেপিও তাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জিকে প্রচারণায় নামতে দেখাযায় নি, বরং নোট বাতিলের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় প্রতিবাদ জানাতে দিল্লিতে বেশি ব্যস্ত ছিলেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আসনের মধ্যে কুচবিহার ও তমলুক লোকসভা এবং মন্তেশ্বর বিধানসভায় ভোট নেওয়া হয়। বিজেপির তরফে মন্তেশ্বর থেকে তাদের নির্বাচনী এজেন্টকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলা হলেও শাসকদল তৃণমূল তা অস্বীকার করে।
প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট গণনা আগামী ২২ নভেম্বর। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ নভেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ-১৮