দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার জাপানে পৌঁছার কথা বলে দেশটির সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এই সফরের মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর জাপানের মাটিতে পা রাখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ২০০৫ সালে শেষ জাপান সফর করেছিলেন পুতিন।
এদিকে এক সপ্তাহ আগেই রাশিয়ার প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা জাপানে গেছেন। দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পুতিন ইয়ামাগুচি প্রদেশের নাগাতা শহরে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরের দিন টোকিওয় ফের একটি বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়ে জাপানের। কিন্তু শিনজো আবে সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাধতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এরই মধ্য বিরোধপূর্ণ দুই দ্বীপ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তাপ দেখা যায়। ১৯৫৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও জাপানের আলোচনার পর জাপানের হোক্কাইডোর কাছাকাছি থাকা রাশিয়ার দ্বীপ পেতে জাপান আন্তর্জাতিক সাহায্য আশা করেছিল।
জাপানিরা পুতিনের এ সফরে বিরোধপূর্ণ দুই দ্বীপের সমাধানে আশাবাদী হলেও পুতিন তার সফরের আগে জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে’কে বলেছেন, দ্বীপ নিয়ে আলোচনা হবে না।
তবে জাপান সরকারের কর্মকর্তারা বলছে, বিরোধীপূর্ণ দ্বীপে জাপান ও রাশিয়ার অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য রাশিয়াকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র: বিডিনিউজ
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ