বিক্ষোভ থামাতে ইচ্ছে মতো ছররা বন্দুক ব্যবহার করা যাবে না। কাশ্মীরে ছররা বন্দুক ব্যবহার নিয়ে শুনানিতে জানাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘কাশ্মীরে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বিচারে ছররা বন্দুক ব্যবহার করা যাবে না। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ছররা বন্দুকের ব্যবহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ।’
জবাব চেয়ে জম্মু-কাশ্মীর সরকার এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ছররা বন্দুকের পরিবর্তে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা তার জন্য জুলাই মাসে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভাবনা চিন্তা কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে সরকারি আইনজীবী মুকুল রোহতাগিকে শিগগির একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই কাশ্মীরে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির। তারপর থেকে প্রায় দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে অশান্তির সাক্ষী থেকেছে উপত্যকা। সেনা-জনতা সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন প্রায় ১২,০০০ মানুষ। তাতে দৃষ্টিশক্তি হারান শতাধিক মানুষ। যারমধ্যে শিশুও রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে ছররা বন্দুক নিষিদ্ধ করতে প্রথমে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে আবেদন করে হাইকোর্টের আইনজীবী সমিতি। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আদালত। ২২ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। ছররা বন্দুক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে নিরাপত্তাবাহিনীকে আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও।
তার মতে, রাস্তায় পাথর ছুঁড়লেই কেউ জঙ্গি হয়ে যায় না। জঙ্গি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।