‘রেনকোট’ ইস্যুতে প্রবল সমালোচনার মুখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার রাজ্যসভায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং’কে নিশানা করে মোদি বলেন ‘ডক্টর সাহেবের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তার আমলে এত কেলেঙ্কারির পরও একটি দাগও তার গায়ে লাগেনি। রেনকোট পরে কি করে গোসল করতে হয়, সেটা ডক্টর সাহেবই জানেন’। মোদির এই মন্তব্যের পরই সংসদে হট্টগোল বাধিয়ে দেন কংগ্রেস সাংসদরা, পরে সংসদও ত্যাগ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ টেনে উত্তরাখন্ডের উধাম সিং নগর জেলার সিতারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন ‘মনমোহন সিং ভারতের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির কিছু বলা মানেই সেটা গোটা দেশবাসীকে বলা’।
এদিন রাহুল বলেন ‘মোদি জি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন পুরো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন, তার ওপর মানুষের পুরো বিশ্বাস ছিল, একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। দুই লাখ মানুষের কর্মকংস্থানের কথা বলা হয়েছিল, আপনি মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথা বলেছিলেন...কিন্তু এতদিন পরেও তার কিছুই হয় নি। আপনি শুধুমাত্র ফাঁকা আওয়াজই দেন এবং মনমোহন সিং’এর মতো একজন মানুষের সম্পর্কে যখন কথা বলেন তখন কোন সম্মানই দেন না’।
এদিকে ‘রেনকোট’ মন্তব্যের জন্য মোদিকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা। এদিন একথা জানিয়ে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন ‘কাউকে সমালোচনা করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন, উদ্ধত্য দেখান এবং তিন ক্রমশ তার অফিসের মর্যদা নিচে নামিয়ে আনছেন। রাজনৈতিক সমালোচনার জন্য যে শব্দ প্রয়োগ করা উচিত তা তিনি জানেন না। মোদি জি ইন্দিরা গান্ধীকেও ভৎর্সনা করেছেন, সংসদের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন, সংসদে ভারতীয় গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন। তাই বিরোধীরা তাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।
সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলিতো মোকি ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছে। এদিনই এই ইস্যুতে রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। একসময় হট্টগোল শুরু করে দেন তারা।