উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি একটি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কয়লা, চারকোল, পিটের মতো কঠিন জ্বালানিতে চলে। এই ধরনের প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই এবং খুব কম সময়ে উৎক্ষেপণ করা যায়। ফলে শত্রুপক্ষের জন্য এটি সনাক্ত করাটাও কঠিন হয়ে পড়ে। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোরের।
ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপক যন্ত্রটিও স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বলে পিয়ংইয়ং জানিয়েছে। ফলে দেশের এই ধরনের যন্ত্রের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করবে। প্রচলিত টায়ারের চাকার পরিবর্তনে ক্যাটার পিলার ট্রাক বা চেইনের চাকা লাগানো ট্রাকে উৎক্ষেপণ যন্ত্রটি পরিবহন করা হয়েছে। তার মানে প্রচলিত পথের পরিবর্তে এটি যে কোনও স্থানে বহন করা যাবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে ‘কোল্ড ইজেক্ট’ বা ঠাণ্ডা নিক্ষেপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সাধারণত দুই পদ্ধতিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। উৎক্ষেপক যন্ত্র থেকে বেরিয়ে যাবার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিনটি চালু হয়। ফলে উৎক্ষেপক যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিন্তু 'কোল্ড ইজেক্ট' পদ্ধতিতে সংকুচিত গ্যাসের মাধ্যমে প্রথমে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুঁড়ে দেওয়া হয়। পরে সেটির ইঞ্জিন চালু হয়। এর ফলে নিক্ষেপক প্লাটফর্মটি আবার ব্যবহার করা যায়।
গত ১৩ মাসে উত্তর কোরিয়া দুইটি পারমাণবিক পরীক্ষা, আর ২০টির বেশি আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু নতুন ধরনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে উত্তর কোরিয়ার সামরিক অগ্রগতির যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে উত্তর কোরিয়ায়ই হয়তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা