তাঁর সব ধ্যান-জ্ঞান যেন জৈব রসায়ন নিয়েই। গবেষণাগার তাঁর প্রিয় স্থান। কখনও তাঁকে নমুনা সংগ্রহে দেখা যেত জঙ্গলে। তারপর ল্যাবের ভিতর সেই নমুনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় মেতে থাকা। বিশিষ্ট জৈব রাসায়নিক বিজ্ঞানী আমিনা গারিব ফাকিম। তিনি আবার দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাসের প্রেসিডেন্ট। তাও আবার দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত একটি দ্বীপরাষ্ট্র এই মরিশাস। ভারত মহাসাগরবেষ্টিত ছোট্ট সুন্দর এই দ্বীপটি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রনাধীন ছিল। দেশটির জনসংখ্যার বেশিরভাগ প্রবাসী ভারতীয় ও পাকিস্তানি। এমনই দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আমিনা ফাকিম। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার আগেই তিনি বিশেষ পরিচিত লাভ করেন। জীববিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, অধ্যাপক এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
১৯৫৯ সালে দ্বীপরাষ্ট্রের এক কোনায় সাগরতীরের ছোট্ট গ্রাম সুরিনামে জন্ম আমিনা গারিব ফাকিমের। পরবর্তী সময়ে শুধু মরিশাসের নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জৈব রসায়ন বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি পরিচিত হন বিশ্বে। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন তিনি।
একনজরে আমিনা ফাকিমের সাফল্য
২০০৭: লরেল–ইউনেস্কো পদক (আফ্রিকান নারী বিজ্ঞানী);
২০০৭: জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল পদক (মরিশাস সরকার);
২০০৮: অর্ডার অফ দ্যা স্টার এন্ড কী অব দ্যা ইন্ডিয়ান ওশেন সম্মান (মরিশাস সরকার);
২০০৮: ’ইম্মা সম্মান’ (ব্যাংক ওয়ান লি.)
২০০৯: ইসলামিক একাডেমি অব সায়েন্স ফেলো (জর্ডন)
২০০৯: আফ্রিকান নারী বিজ্ঞানী সম্মান
২০০৯: অর্ডার অব দ্যা ‘শ্যাভেলিয়র ডি ল’র্ডি ডাস পামস্একাডেমিকস’ (ফ্রান্স)
২০০৯: আফ্রিকান ইউনিয়ন ‘নারী বিজ্ঞানী’ সম্মান (পূর্ব-আফ্রিকা অঞ্চলের জন্য)
রসায়নের তুখোড় ছাত্রী ছিলেন। পরে অর্গানিক কেমিস্ট্রি বা জৈব রসায়ন নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও আমিনা গারিব ফাকিম দিয়েছেন দক্ষতার পরিচয়। সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব