পর্বতারোহীরা পাহাড়ে চড়তে গিয়ে প্রায়ই পথভ্রষ্ট হয়ে মৃত্যুর সম্মুখীন হন। পথ ভুলে চলে যান দুর্গম পথে। আর সেখান থেকে ফিরে আসার পথ খুঁজে পাননা শেরপারাও। পাহাড়ের কোলে তুষার ঝড় কিংবা আরও সংকটস্থানে পরে মৃত্যু হয় পর্বতারোহীদের। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নেপাল এভারেস্ট পর্বতারোহীদের জন্য জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এর সাহায্যে পর্বতারোহীরা সঠিক পথটি বেছে নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে যেতে পারবে। এর মাধ্যমে এভারেস্টের ৮,৮৫০ফুট উপরে উঠলে একটি ছবিও পাঠাবেন তাদের বেসক্যাম্পে।
এক ভারতীয় দম্পতি ১০বছরের জন্য এভারেস্ট আরোহনে নিষিদ্ধ হয়েছে। কারণ তাঁরা একটি জাল ছবি দেখে জানিয়েছিলেন যে, তারা এভারেস্টের চূড়ায় পৌছেছিলেন। দেশটির পর্যটন দফতর আধিকারিক দূর্গা দত্ত ধাকাল জানিয়েছেন, এই জিপিএস ব্যবস্থাটি যদি সঠিক ভাবে কাজ করে তাহলে এই জিনিসটি প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।
নেপালের মোট আয়ের ৪শতাংশ আসে এই এভারেস্ট আহরণের থেকে। মে মাসে এভারেস্ট আহরণের সংখ্যা সবথেকে বেশি৷ তবে ২০১৫ সালে ভূমিকম্পের পর ব্যাপক তুষারধসের সৃষ্টি হয়৷ এজন্য প্রায় ১৯জন পর্বতআরোহী মারা যান। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পরে মৃত্যু হয় ১৬জন শেরপারও। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার