এমনিতেই ভারতজুড়ে একের পর এক নির্বাচনে পরাজিত হয়ে হারের তালিকা ক্রমশ বড় হচ্ছে। কংগ্রেসের এই হারের কারণে ১২৮ বছরের এই দলটিকে ‘ব্যানার’ পার্টি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে বিরোধী দলগুলো। তার ওপর সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস। মণিপুর ও গোয়া বিধানসভার নির্বাচনেও একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে তাদের হাত থেকে সরকার গঠনের সুযোগ ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপের খোরাক হয়ে উঠেছেন কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
আর এবার সেই কাটা ঘায়ে লবণ ছিটাল মধ্যপ্রদেশের হোসঙ্গাবাদের এক প্রকৌশলীর ছাত্র বিশাল দিওয়ান। দেশে ২৭টি নির্বাচনে হারের জন্য ভারতে নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি হারের কাণ্ডারী হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তোলার জন্য প্রস্তাবনা পাঠালেন তিনি। বিশালের দাবি, রাহুল গান্ধী প্রত্যক্ষভাবে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করায় এবং নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় একের পর এক নির্বাচন হেরেছে কংগ্রেস।
গিনেস বুকে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করে তার এনরোলমেন্টের অর্থও পূরণ করে দিয়েছেন বিশাল। গিনেস বুকের পক্ষ থেকেও সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। যদিও বিশালের আর্জিটি অনুমোদন করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড-এর পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে প্রায়ই কৌতূকের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের আগেও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ভুলে গিয়েছিলেন রাহুল। সে নিয়ে প্রচণ্ড সোরগোল হয় সোস্যাল মিডিয়াতে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব