বিশ্বের যেসব দেশে এখনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান তাদের মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম। তেলসমৃদ্ধ এ আরব দেশটি বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর একটি। নানা দিক থেকে সৌদি আরব বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তেমনই কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এখানে-
সৌদি আরবে উটকে এখনো গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রতিদিনই এখানে উট কেনা-বেচার হাট বসে। সৌদি আরবে উটের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় নানা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী উটদেরকে বেশ বড় পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়।
সৌদি আরবের প্রায় সাড়ে আট মিলিয়ন শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ছয় মিলিয়নই বিদেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র রয়েছে সৌদি আরবে। গাওয়ার তেলক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল। তেলের দাম বাড়লে সৌদির অর্থনীতি গতিশীল হয়, দাম কমে গেলে বিপাকে পড়ে যায় দেশটি।
সৌদি আরবের তেল শিল্প দেশটির মোট জিডিপির ৪৫ ভাগ যোগান দেয়। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ ছিল ৬৭ বিলিয়ন। সামরিক খরচের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পরই সৌদি আরবের অবস্থান।আয়তনের দিক দিয়ে পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ যার আয়তন ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি। তবে দেশটির অধিকাংশ স্থানই ৯৫ ভাগই মরুভূমি।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন নির্মাণ করছে সৌদি আরব। ২০১৮ সালে কিংডম টাওয়ার নামে এ বিল্ডিংটি নির্মিত হলে তা প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু হবে। কিংডম টাওয়ারের নির্মাণে ব্যয় হবে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরব ছয়টি ‘অর্থনৈতিক শহর’তৈরি করছে। এ শহরগুলো তৈরীতে যে অর্থ খরচ হবে তার পরিমাণ কেনিয়ার মোট জিডিপির সাড়ে তিন গুণ।
সৌদি আরবের অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পুরষই একাধিক কিংবা তারও বেশি বিয়ে করেন। সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি ৭০ লাখ। প্রায় ৪৭ ভাগ জনসংখ্যার বয়স ২৪ বছরের কম। এ ছাড়াও দেশটি এক চতুর্থাংশ মানুষের বয়সই ১৪ বছরের কম। সৌদি আরবে ২০১২ সালে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ করতে আসে। সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য জনসমক্ষে শিরচ্ছেদের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এ কাজের জন্য উপযুক্ত ও আগ্রহী জল্লাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই শিরচ্ছেদ বন্ধ করা হতে পারে দেশটিতে।
বিডি প্রতিদিন/৩ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা