ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এই ইঙ্গিতই দিয়েছেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের ক্ষেত্রগুলিতে তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ মানা হবে না।
মার্কিন মুলুকে ক্ষমতা বদলের পরে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত সম্পর্কে কী নীতি নিয়ে এগোবে, তা এখনও সাউথ ব্লকের কাছে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া খুবই সতর্ক ভাবে দিয়েছে দিল্লি। গতকাল হ্যালি সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাতের পরিস্থিতি রয়েছে, তা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এই সংঘাত কীভাবে কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে চাইছি আমরা। কিছু ঘটে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা উচিত নয়।’’ এর সঙ্গেই তার ইঙ্গিত, দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী।
এদিকে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চালাতে আন্তর্জাতিক সংস্থা কিংবা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় রাজি ইসলামাবাদ। কিন্তু ভারত মনে করে, এ সব বিষয়ে আলোচনায় তৃতীয় পক্ষের দরকার নেই। এটাই ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থান।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল ওয়াগলের মন্তব্য, ''ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। আমরা আশা করছি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পাকিস্তান থেকে সৃষ্টি হওয়া সন্ত্রাস বন্ধের জন্য চাপ দেবে।''
নয়াদিল্লির মতে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস বন্ধে যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ স্বাগত। কিন্তু ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে জায়গা দেওয়া হবে না। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ