দুর্নীতি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পাক কুন হে ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চই সুন-সিল বর্তমানে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক আছেন। দুজনের মধ্যকার যোগসাজশ এড়াতে পৃথক কারাগারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার একজন কৌঁসুলি এ কথা জানান।
পাক কুন হের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চই সুন-সিলকে প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের পাশাপাশি স্যামসাং গ্রুপসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কনগ্লোমারেটদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা গ্রহণ করেন চই। দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন পাক কুন হে। তদন্তাধীন অবস্থায় তার সঙ্গে একই কারাগারে আটক আছেন চই সুন-সিল এবং স্যামসাংয়ের ভবিষ্যৎ কর্ণধার লি জায়ে-ইয়োং।
তবে সিউল ডিটেনশন সেন্টারের মহিলা ওয়ার্ডটি তুলনামূলক ছোট হওয়ায় পাক কুন হে এবং চই সুন-সিলের মধ্যকার দেখা সাক্ষাৎ এড়াতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে। সাংবাদিকদেরকে কৌঁসুলিরা জানান, ভবিষ্যতে দুই বান্ধবীর যোগসাজশ বন্ধে চলতি সপ্তাহেই চই সুন-সিলকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হবে।
উল্লেখ্য, পাক কুন হে, চই ও লি জায়ে-ইয়োং তিনজনই নিজেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় তাদের আটক রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাক কুন হেকে অন্তত ২০ দিন কারাগারে আটক রাখা হবে। পরবর্তীতে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
সূত্র: রয়টার্স।