গতমাসে ভারতের কেরালার কোল্লামের পানমানা আশ্রমে যোগগুরুর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগ এনে সেই যোগগুরুর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন ২৩ বছরের আইনের এক ছাত্রী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ধর্মগুরু গণেশানন্দ ১৬ বছর বয়স থেকে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। তাই তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে জননাঙ্গ কেটে দেন।
এখন সেই ছাত্রী তার জাবনবন্দি বদল করে যোগগুরুর আইনজীবীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাকে কোনওদিনই যোগগুরু ধর্ষণ করেননি এবং তিনি কখনোই যৌন নিপীড়নের শিকার হননি
পুলিস সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনা যখন ঘটে তখন ওই তরুণী স্বীকার করেন তিনি ওই স্বামীর পুরুষাঙ্গ রাগের বশে কেটে দেন। ওই যোগগুরু তাকে ১৬ বছর বয়স থেকে বহুবার ধর্ষণ করেছে। ঘটনার দিনও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করতে গিয়েছিল তিনি। কিন্তু তার আগেই তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় তরুণী।
কিন্তু সম্প্রতি ওই তরুণী অভিযুক্তের আইনজীবীকে চিঠি দিয়ে আদালতকে জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গে কোনও ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। গুরুজি আমায় কখনওই ধর্ষণ করেননি। পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা।’
সোমবার এই মামলার শুনানি তিরুবন্তপুরমের স্থানীয় আদলতে ওঠে। ওই তরুণীর আইনজীবী সোমবার জানান, তরুণী কেরল পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করাতে চাইছেন না, অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা এই মামলার তদন্তের ভার নিক।
তরুণী তার চিঠিতে অভিযোগ করে জানান, পুলিশের চাপের মুখেই তিনি ওই ধরনের বয়ান দিয়েছিলেন। আদালতকে ওই তরুণী তাসর লাই ডিটেকশন করার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। তবে গোটা ঘটনাটি কেন ঘটিয়েছিলেন ওই তরুণী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৭