কাশ্মীরের নিকটাবর্তী অমরনাথে জঙ্গিহানার রেশ এখনও কাটেনি। গত ১১ জুলাই তীর্থযাত্রীদের উপর আচমকা হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সাতজন মারা যান এবং আহত হন অন্তত ১৫ জন। শুধু অমরনাথই নয়, বিগত কয়েক বছরে বহুবার এই ধরনের আক্রমণের সাক্ষী থেকেছে ভারত।
কিন্তু কী কারণে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ছে দিন দিন, যার ফলস্বরূপ আকার নিচ্ছে এমন ঘটনাগুলি। এবার সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন বাবা রামদেব। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই যোগগুরু মনে করছেন, যারা নিজেদের মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না, তারাই ভুল পথে চলে যান। জঙ্গিহানা তারই ফলাফল।
রামদেবের কথায়, "যারা যোগ সাধনার মধ্যে দিয়ে জীবনের প্রকৃত অর্থটা বুঝতে পেরেছে, তারা কখনওই খারাপ পথে যায়নি। যোগ সাধনা করে টেররিস্ট হয়েছে, এমন ঘটনা ইতিহাসে নেই। আমি মনে করি যোগ মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।"
প্রসঙ্গত, রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি জম্মু ও কাশ্মীরে ১৫০ একর জমি কিনছে বলে জানা গেছে। ওই অঞ্চলে পতঞ্জলি একটি বড় ইউনিট গড়তে চলেছে। এতে বহু কর্মসংস্থানও হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে এক হাত নেওয়ার জন্যেও প্রস্তুত যোগগুরু। ইতিমধ্যেই চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন রামদেব।
তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের দ্রব্য উৎপাদনের মধ্যে দিয়েই ভারত স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। চীনের প্রতি নির্ভরশীলতা আর নেই বললেই চলে। এবার আমাদের সকলের উচিৎ ভারতের বাজারে চীনা দ্রব্য বয়কট করা।
বিডি প্রতিদিন / ১৫ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর