গাড়ির ধাক্কা। অতঃপর জখম হয়ে ব্যস্ত রাস্তায় ১২ ঘণ্টা। এসময় কোনো জ্ঞান ছিল না তার। কেউ সাহায্যের হাতও বাড়ায়নি। দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলেন অসংখ্য পথচারী। অবশ্য কেউ যে তার কাছে যাননি এমন নয়। তবে যারা গিয়েছিলেন তারা মানবিক দৃষ্টিতে না দেখে অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়েছেন। হাতিয়ে নিয়েছেন তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন, এমনকী পকেটে থাকা ১২ টাকাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, গত বুধবার এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল নয়া দিল্লির কাশ্মীরি গেট বাস টার্মিনাস এলাকা। গুরুতর জখম সেই ব্যক্তিকে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নরেন্দ্র কুমার নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই যুবক পেশায় গাড়িচালক। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর এলাকার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার তিনি জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে দিল্লির কাশ্মীরি গেটের কাছে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন নরেন্দ্র। তখনই হঠাৎ একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। গলা, পা এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট লাগে।
নরেন্দ্রর ভাষ্য, গাড়ির আঘাত পাওয়ার পর সারা রাত রাস্তাতেই পড়েছিলাম। পরের দিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে।
নরেন্দ্রর ভাই রাজকুমার জানিয়েছেন, পথচারীরা কেউ তার ভাইকে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। এমনকি গাড়ির ধাক্কায় জ্ঞান হারানোর সুযোগে কেউ তাঁর মোবাইল ফোন এবং পকেটে থাকা ১২ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব