নবম ব্রিকস সম্মেলন শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলনের এবারের আয়োজক চীন। সম্মেলনে যোগ দিতে শিয়ামেন শহরে হাজির হয়েছেন সদস্য রাষ্ট্র ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতারা। পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কই সম্মলেনের মূল আলোচ্য বিষয়।
তবে এবার তাতে ছন্দপতন ঘটেছে। সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার কথা ঘোষণা করে উত্তর কোরিয়া। এতদিন বিপদে আপদে যাদের আড়াল করে এসেছে চীন। এই পরিস্থিতিতে কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতাবস্থাই সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেজিং অবশ্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু আগ্রাসনের সামনে যাতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থমকে না যায়। যে কারণে গতকালই ডিপিআরকে (ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া)–এর তীব্র সমালোচনা করে তারা। বিবৃতি জারি করে চীন জানায়, ‘আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও ফের পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। চীন সরকার এত তীব্র নিন্দা করছে।’
চীনের সাধারণ মানুষ উত্তর কোরিয়ার আচরণের বিরক্ত বলে দাবি করেন ব্রিকস সম্মেলনে হাজির চীনা সাংবাদিক কিন ফেঙ। তিনি বলেন, ‘সকলেই তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন। কিন্তু কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতাবস্থা ও শান্তি টিকিয়ে রাখতেই হবে। খুব শিগগির সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এত দিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে এসেছে চীন। এবার বোধহয় নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’
এদিকে রবিবার ব্রিকস ব্যবসায়ী মহলের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন জিনপিং। তখনই হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার কথা ঘোষণা করে উত্তর কোরিয়া। তবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের কড়া কথা শোনাননি তিনি। বরং কারও নাম না করে বলেন, ‘আমরা ব্রিকস সদস্যরা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার পক্ষপাতী। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক, জোট বজায় রেখে সমস্ত রকম আগ্রাসন ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে গণতন্ত্রকে।’
বিডি-প্রতিদিন/৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর