ধর্ষক বাবা নাকি নেতাজি সাজতে চেয়েছিলেন! এমনটাই জানাচ্ছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। জানা যাচ্ছে, সব কিছু ঠিক থাকলে রাম রহিম এই বছরেই নাকি হাত দিতেন একটি বাংলা ছবি নির্মাণে, যার বিষয়বস্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রত্যাবর্তন।
স্বঘোষিত গডম্যান ইতিপূর্বেই 'মেসেঞ্জার অফ গড' নামের একটি মুভি সিরিজ বানিয়ে মিডিয়ায় চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিলেন। না, গুণগত মানের কারণে নয়। সেই সব ছবি এতটাই উৎকট যে, নেতিবাচক কারণেই তা চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। বলিউডে এমন ‘সাফল্যের’ পরে বাবা নাকি হাত দিতেন বাংলা সিনেমায়। কোন সাধারণ ছবি নয়, তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজিকে নিয়েই ছবি বানাবেন। বলাই বাহুল্য, এই ছবির প্রযোজক, পরিচালক, সঙ্গীত ইত্যাদি তিনি একাই সামলাতেন, যেমন সামলেছেন তাঁর বলিউড ছবিগুলিতে। কিন্তু সব থেকে বড় কথা, এই ছবিতে নেতাজির ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হতেন তিনি স্বয়ং। কারণ, নিজেকে ছাড়া বাবা অন্য কারোকে বিশ্বাস করতেন না।
২০১৭-এর নভেম্বরেই কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল বাবার। সেই সঙ্গে এমন ছবির কথাও ভেবেছিলেন, যেখানে সেন্সর বোর্ডও হাবুডুবু খাবে। টলিউডে এসে অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করার কথা ছিল তাঁর। লোকেশনও দেখবেন বলে ঠিক করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাবা বলিউডে হেঁচকি তুলেছিলেন বলেই কলকাতার মুভি মার্কেটে উঁকি মারতে চেয়েছিলেন। আর তিনি জানতেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মতো বিষয় নিয়ে সিনেমা তোলার খবর ছড়ালে তাঁর প্রচার ও পশার দেশে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
এই চবির চিত্রনাট্য এমন ভাবে লেখা হয়েছিল যে, নেতাজি বীরের বেশে স্বাধীন ভারতে ফিরে এসেছেন। তার অন্তর্ধানের রহস্য তিনি খুলে বলছেন। এই প্রকল্পের জন্য রাম রহিম ৫ কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছিলেন। আশা করেছিলেন, এ থেকে ৫০ কোটি টাকা রেভিনিউ আসবে। সূত্র: এবেলা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার