আইএস জঙ্গিদের কব্জায় রয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার নারী। তাদের সবাইকে অপহরণ করে যৌন ক্রীতদাসে পরিণত করে রেখেছেন আইসিস জঙ্গিরা। জঙ্গিদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে আসার পরে এভাবেই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্য প্রকাশ করলেন আরও এক নির্যাতিতা।
বছর কুড়ির ওই নারী জানিয়েছেন তেমনই এক তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছেন, একদিন সকালে হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যায় আইএস জঙ্গিরা। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি আইএস ডেরায়। সেখানে এক অন্ধকার ঘরে ৪০০ নারীর সঙ্গে আটকে রাখা হয়েছিল। ১০ দিন পর তাদের চোখ বন্ধ করে একটা গাড়িতে ঠাসাঠাসি করে নিয়ে যাওয়া হয় এক বাড়িতে। সেখানে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর তাকে অন্তত তিন চারবার বিক্রি করা হয়েছে।
তার কথায়, বেশ কয়েকজন নারীকে বিভিন্ন জায়গাতে বিক্রি করা হয়। সব জায়গাতেই তাদের যৌন ক্রীতদাসি করে রাখা হত। শেষবার একটি বুড়োর কাছে বিক্রি করা হয় তাকে। সে জিজ্ঞেস করেছিল, আরবি রান্না করতে পারে কি না।
জবাবে ওই নারী জানিয়েছিল না, সে রান্না করতে পারে না। কিন্তু এরপরেও রান্না শিখিয়ে দেওয়ার নাম করে নিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। বুড়োর বাড়িতে যাওয়ার পর তাকে সহ্য করতে হয় অন্য রকম অত্যাচার। বুড়োটা বলত, কোনও কাজ করতে হবে না, সে যেন নগ্ন হয়ে তার সামনে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকে। এক রাতে বুড়ো ঘুমিয়ে পড়ার পর সে পালিয়ে যায়।
আইএস জঙ্গিদের কবলে থাকা অন্য এক নারী জানিয়েছেন, ১২ থেকে ১৫ বছরের বালিকাদের যৌন ক্রীতদাসি করে ডেরায় রেখে দেয় আইএস জঙ্গিরা। এরপর তাদের ওপর দিনের পর দিন চলে নির্যাতন, ধর্ষণ।-কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত