সংবাদমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা বাতিলের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সংবাদমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রচার ঠেকাতে সোমবার কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, খবর ভুয়া প্রমাণিত হলে সাংবাদিকদের সরকারি স্বীকৃতি (অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড) বাতিল হবে। প্রথম দফায় ৬ মাসের জন্য, পরের বার এক বছর এবং তৃতীয় বার একই কাজের পুনরাবৃত্তি হলে পাকাপাকিভাবে সেই সরকারি স্বীকৃতি বাতিল হয়ে যাবে।
সরকারিভাবে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকারি সাংবাদিকদের স্বীকৃতি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা হয় এখন থেকে ভুয়া খবরের অভিযোগ এল তা ‘প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (মুদ্রিত খবরের জন্য) এবং নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম) এর কাছে পাঠানো হবে। তারা দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচার করে দেখবে, খবরটি ভুয়া কি না, ততদিন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের স্বীকৃতি বাতিল থাকবে। খবরটি ভুয়া প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। সরকারের ওই নির্দেশিকার পরই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ওই বিষয়টিকে 'রাজনৈতিক সেন্সরশিপের হাতছানি' হিসেবে সমালোচনা করেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকরা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশিকা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন। পিএমও সূত্রে খবর, মোদি জানিয়েছেন ‘ভুয়া খবর’ সম্পর্কিত বিষয়টি প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়াই সামলাবে।
প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশিকা সরিয়ে নেয়া হয়। স্মৃতি ইরানি নিজেই টুইট করে জানান, পিআইবি অ্যাক্রিডিটেশন এক নির্দেশিকায় প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ও নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-কে ভুয়া খবর নির্ধারণ ও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এই বিষয়ে একাধিক সাংবাদিক ও সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলি গঠনমূলক প্রস্তাব দিতে চায়।
উল্লেখ্য, ভুয়া খবরের প্রচার নিয়ে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়েই চলছে সমালোচনা। সম্প্রতি ইন্টারনেটের দৌলতে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়তে খুব একটা সময় লাগছে না। কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে একটি ভুয়া খবর পোস্ট করার অভিযোগে এক সিনিয়র সাংবাদিককে (পোস্টকার্ড নিউজ-এর সম্পাদক) গ্রেফতার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/৩ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা