বাবা-মা দু’জনই মদ্যপ। প্রতিদিন অশান্তি। এসব সহ্য করতে না পেরে একদিন সবকিছু ছেড়ে স্টেশনে গিয়ে বসেছিল ১১ বছরের মেয়ে। কিন্তু সেটাই হয়ে চলেছে জীবনের সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ কিছুদিন পরই সে বুঝতে পারে, যে জায়গায় সে রয়েছে সেটা আসলে নিষিদ্ধপল্লী। এই নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদের এক কিশোরীর সঙ্গে।
সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করত সে। প্রত্যেকদিনের অশান্তিও আর ভাল লাগছিল না। তাই বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত। স্টেশনে বসে কাঁদছিল সে। এরপর কি করবে, কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছিল না। হঠাৎই এগিয়ে আসতে দেখে এক অচেনা এক নারীকে।
মায়ের বয়সী সেই নারী তাকে কাছে টেনে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে যে তার কি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সরল বিশ্বাসে সেই নারীকে সব কথা বলে দেয় কিশোরী। তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ওই মহিলা। খাবার দেয়, জামা-কাপড় দেয়। একটি প্রাইভেট স্কুলেও ভর্তি করে দেয়।
একদিন সেই নারী তাকে বলে, যে বাইরে নিয়ে যাবে। সে যেন তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নেয়। এরপর সেই কিশোরীকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে এক অচেনা লোকের সঙ্গে রেখে চলে আসে সেই নারী। এরপরই তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তার জায়গা হয় নিষিদ্ধপল্লীতে।
অবশেষে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। তার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সে জানিয়েছে যে, তাকে চাবুক দিয়ে মারা হত। চোখে গুঁজে দেওয়া হত মরিচের গুঁড়ো। জ্বলন্ত সিগারেটের খোঁচা দেওয়া হত। সেখানেই হয়ত মরে যাবে, এটাই ভাবত সে। কিন্তু ভাগ্যের জোরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তার চিকিৎসা হয়, কাউন্সেলিং হয়। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে সেই কিশোরী।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর