একটা চাকরি প্রাপ্তি এখন সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। ক্রমেই বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। আর বেকারত্বের এ চিত্রটা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ভারতের এই ঘটনা। পিওন পদের জন্য আবেদন পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউতে বি-টেক থেকে এম-টেক পর্যন্ত প্রার্থীরা এসেছেন।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে পিওন ও গবেষণাগারের সহযোগী পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। সেখানেই চাকরিপ্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত দেখে বিস্ময়ে হতবাক কর্তৃপক্ষ। ৭০টি পদের জন্য আবেদন পড়েছে প্রায় ১১ হাজার। এরমধ্যে মধ্যে ৫০০ জনকে ইন্টারভিতে ডাকা হয়েছে। পিওন পদে ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। বেতন কেটেকুটে ১৫ হাজার। সেই কাজের জন্যই উচ্চশিক্ষিতদের আবেদনের এত লম্বা লাইন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, এখানে বিএ, বিএসসি, এমএ, বি-টেক, এম-টেক প্রার্থী ইন্টারভিউতে এসেছিলেন পিএইচডি যোগ্যতাসম্পন্নরাও আবেদেন করেছিলেন, কিন্তু কেউ ইন্টারভিউতে আসেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অঙ্ক, ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর থেকে কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিকাল, ইলেকট্রিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তির মতো ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণরাও ইন্টারভিউতে আসছেন।
অনেকের অভিযোগ, এ আসলে বেকারত্বের জ্বলন্ত নিদর্শন। তাই উঁচু ডিগ্রিধারীরা পিওনের কাজ করতেও পিছ পা নন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সমস্যা সর্বভারতীয়। কর্মহীনতার পাশাপাশি স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতি আকর্ষণও এ ছবির নেপথ্যে।
এর আগে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অস্থায়ী ডোম পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন পিএইচডি প্রার্থী! উত্তরপ্রদেশে ৩৬৮টি পিওনের পদের জন্য আবেদন জমা পড়ে ২৩ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ২ লক্ষের বেশি ইঞ্জিনিয়ার, ২৫৫ জন পিএইচডি।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান