ভারতের মতে নিজেদের স্বরূপ দেখিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান৷ বড় গলা করে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন শান্তি ও সমঝোতার প্রশ্নে ভারত এক পা এগুলে, পাকিস্তান দু পা এগুবে৷ তবে সেটা যে শুধু কথার কথা, তা একাধিকবার বুঝিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান৷ এবারও তার প্রমাণ মিলল৷
কর্তারপুর করিডর প্রসঙ্গে দু পা এগুনো তো দূরে থাক, বরং আরও পিছিয়ে গেল পাকিস্তান৷ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল জানিয়ে দেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কোনও আলোচনা না হলে কর্তারপুর করিডর খোলা নিয়ে ভাববে না পাকিস্তান৷
এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যতদিন না কোনও সুষ্ঠু আলোচনা হচ্ছে এবং তা ইতিবাচক দিকে এগুচ্ছে, ততদিন কর্তারপুর করিডর বন্ধই থাকবে৷ একাধিকবার কর্তারপুর করিডর শিরোনামে উঠে আসছে, কারণ এবছরই শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক দেবের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী৷ ভারত থেকে বহু দর্শনার্থী পাকিস্তানে কর্তারপুর সাহিব দর্শন করেন৷ ১৫৩৯ সালে কর্তারপুরেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন গুরু নানক৷ সেখানেই জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়ে ছিলেন তিনি৷ ফলে এই স্থান শিখ সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়৷
এর আগে, সুষমা স্বরাজ জানিয়েছিলেন চুক্তি মেনে কর্তারপুর সাহিবের ভারতীয় দর্শনার্থীদের জন্য রাস্তা খোলেনি পাকিস্তান। এমনকি কোনও আলোচনা চেয়ে চিঠিও পাঠায়নি। এই ইস্যুতে মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংও। তিনি জানান, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কর্তারপুর করিডর খোলা নিয়ে কোনও প্রস্তাব আসেনি। তবে যদি এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব আসে, অবশ্যই ভেবে দেখা হবে।
গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ভারতের ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব পর্যন্ত একটি করিডর খোলার চেষ্টার কথা সামনে আসে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে জানানো হয়। দু’টি তীর্থস্থানের মধ্যে দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার।
কর্তারপুর করিডর নিয়ে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রালয়ের বিবৃতির পরেই মুখ খোলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। তার মতে বার বার বিদেশ মন্ত্রালয়ের কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তারা। সিধুর দাবি, কর্তারপুর করিডর নিয়ে পাকিস্তানের বার্তা বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই কর্তারপুর প্যাসেজ খোলা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার আবেদন জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর