লাহোরে ভারত বিরোধী মিছিল করার অনুমতি দিল পাকিস্তান৷ আর এই মিছিল করবে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সাঈদ৷ গত কয়েকদিন আগে মুম্বাই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সাঈদের সঙ্গে সদ্য নির্বাচিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের এক মন্ত্রীকে এক মঞ্চে দেখা যায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।
সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে তাহলে যেখানে পাকিস্তান ছিল সেখানেই রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে থাকে যে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার আগে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করা নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা সবটাই কি তাহলে মিথ্যা? সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের একবার হাফিজ সাঈদের পাশে পাকিস্তান৷ লাহোরে ভারত বিরোধী মিছিল করার অনুমতি দিয়ে নিজেদের চরিত্র ফের একবার সামনে আনল তারা৷
এদিকে, পাকিস্তানে ভারতীয় দূত অজয় বিশারিয়ার একটি অনুষ্ঠান বাতিল বলে ঘোষণা করে পাক প্রশাসন৷ একদম শেষ মুহুর্তে এই অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এই ঘটনা ভারত পাক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিশারিয়ার৷ সেখানে ভারত পাক সম্পর্কের ওপরেই বক্তব্য রাখতেন তিনি৷
কিন্তু তার আগে, এই অনুষ্ঠান বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়৷ এই মর্মে বিশারিয়ার কাছে পাক প্রশাসনের তরফে একটি বার্তা আসে, যে অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে৷ কিন্তু কেন এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হল, তা জানানো হয়নি বিশারিয়াকে৷
অন্যদিকে, পাকিস্তানে ভারত বিরোধী মিছিল নতুন নয়৷ এর আগেও ভারত বিরোধী মিছিল করে জঙ্গি সংগঠন জামাত উদ দাওয়া৷ কাশ্মীর থেকে ভারতের সরে যাওয়ার দাবিতে ‘কালো দিবস’ পালন করে সরকারি কর্মকর্তারা৷ হিজবুল মুজাহিদিন সদস্য বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত ভারত বিরোধী মিছিল বের করা হয়৷ মিছিলে নেতৃত্ব দেয় ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সাঈদ।
কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবিতেই মূলত সেই মিছিল ডাকা হয়। বুরহানের ছবি লাগানো পোস্টার হাতে নিয়ে রাস্তায় নামে সেই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। পোস্টারে ভারত ও আমেরিকার বিরুদ্ধেও বিতর্কিত মন্তব্য লেখা ছিল। যাতে বলা হয়, ‘কাশ্মীরে নিজেদের জোর খাটাতে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে ভারত ও আমেরিকা। তাদের হাত থেকে মুক্তি চায় কাশ্মীরবাসী।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর