১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৩:২৮

৪৫ বছরে ভারতে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি!

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

৪৫ বছরে ভারতে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি!

৪৫ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি বেকারত্ব বেড়েছে বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের শাসনকালে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন (এনএসএসও)-এর একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে গত ছয় বছরে দেশে বেকারত্বের শতকরা হার ২.২ থেকে বেড়ে ৬.১ শতাংশ হয়েছে-যা গত ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম বিপুল পরিমাণ বেকারত্ব দেশে বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার এনএসএসও-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্বের হার ছিল ২০১৭-১৮ সালে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেকারত্বের হার আকাশচুম্বী। গ্রামের তুলনায় শহরে বেকারত্বের হার অনেকটা বেশি। এর থেকে স্পষ্ট সংগঠিত ক্ষেত্রে (সরকারি/বেসরকারি) কর্মসংস্থানের সুযোগ তলানিতে এসেছে পৌঁছেছে। 
গ্রামে বেকারত্বের হার যেখানে ৫.৩ শতাংশ, সেখানে শহরে বেকারত্বের শতকরা হার পৌঁছেছে ৭.৮ শতাংশ।

গ্রামের শিক্ষিত নারীদের ক্ষেত্রে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৭ শতাংশ, ২০১১-১২ সালে তা ছিল ১৫.২ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বরে মোদি সরকারের ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণার পর ২০১৭-১৮ সালে সেই হার বেড়ে দাঁড়ায় ১৭.৩ শতাংশ।

গ্রামে শিক্ষিত পুরুষদের ক্ষেত্রে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে বেকারত্বের হার ছিল ৩.৫ শতাংশ, ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বেকারত্বের হার ছিল ৪.৪ শতাংশ। সেই বেকারত্বই ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.০৫ শতাংশে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রামের ১৫-২৯ বছর বয়স্ক যুবকদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার গত পাঁচ বছরে তিন গুণ বেড়েছে। ২০১১-১২ সালে যা ৫ শতাংশ ছিল, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয়েছে ১৭.৪ শতাংশ।

লোকসভা ভোটের আগে বেকারত্ব নিয়ে এনএসএসও-এর রিপোর্ট সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে গেছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। মোদিকে হিটলারের সাথে তুলনা করে টুইট করে রাহুল লেখেন ‘নমো জবস! ফুহরের (হিটলারকে এই নামেও ডাকা হয়) প্রতি বছর দুই কোটি চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেলেন কিন্তু পাঁচ বছর পর চাকরির রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, এটি একটি জাতীয় বিপর্যয়। ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব। ২০১৭-১৮ সালে দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ছয় কোটিই কর্মহীন। এখন সময় এসেছে নমো সরকারের চলে যাওয়ার।

যদিও বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর তরফে এই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর