জাতিসংঘে ভারত যেভাবে মামলা বা অভিযোগ সাজাচ্ছে, তাতে চাপে পড়ে গেছে পাকিস্তান। এমনটি দাবি করেছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
দেশটির গণমাধ্যমের দাবি, তাদের এই চাপ প্রকাশ পেয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের বক্তব্যে। তিনি বলেছেন,“জাতিসংঘ জইশকে নিষিদ্ধ করেছে। কারও চাপে কিছু করছি না।”
এদিকে কাশ্মীর জঙ্গি হামলার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। একে অপরকে দিচ্ছে হামলার হুমকি। চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও। একে অন্যের বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবিকে মিথ্যা বলেও উড়িয়ে দিয়েছে দেশ দুটি।
এবার পাকিস্তানি সেনার মুখপাত্র দাবি করলেন, জইশ-এ-মহম্মদের অস্তিত্বই নেই পাকিস্তান ভূখণ্ডে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, “প্রথমত পাকিস্তান থেকে পুলওয়ামাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি জইশ। এদেশে তাদের অস্তিত্বই নেই।”
তবে পাকিস্তানের এই দাবিকে মিথ্যা বলে অ্যাখা দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, জইশের আস্তানা যে পাকিস্তানে রয়েছে, তা স্বীকার করেই মহা বিপদে পড়েছেন দেশটির (পাকিস্তান) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর সেটা ঢাকতেই এই মিথ্যা কথা বলেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে পুরনো নাটকেই ফিরল পাকিস্তান। তাদের শান্তির বার্তা খালি মুখেই।
কেননা, এর আগেই ইমরান খান স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে জইশ-এ-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। এরপর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। একটি বিদেশি চ্যানেলে কুরেসি দাবি করেন, কিডনির অসুখে আক্রান্ত মাসুদ আজহার। তার চিকিৎসা চলছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, তাদের নিরাপত্তাতেই রয়েছে মাসুদ আজহার। এমনকি মঙ্গলবার জইশ প্রধানের ভাই ও ছেলেকে আটক করে আন্তর্জাতিক মহলে ধুলো দেওয়ার চেষ্টাও করেছে ইসলামাবাদ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম