নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। উঠেছে নিন্দার ঝড়। এ হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
তবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসলামিক সেন্টার মসজিদে হামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আলোচনায় এসেছেন আফগান শরণার্থী আবদুল আজিজ (৪৮)। এরপরই আলোচনায় আসেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ান বন্দুকধারী ব্রেনটন টেরেন্টকে ক্রেডিট কার্ড মেশিন নিয়ে ধাওয়া করেছিলেন আজিজ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আফগান নাগরিক আজিজের সেদিনের প্রতিরোধ ট্যারেন্টের দ্বিতীয় আক্রমণকে অনেকখানিই খর্ব করেছিল।
এ ব্যাপারে রয়টার্সকে আজিজ বলেন, শুক্রবার ১টা ৫৫ মিনিটে মসজিদ থেকে বের হই। নামাজ শেষে দেখতে এসেছিলাম বাইরে কী ঘটছে। তখন সামরিক পোশাকে এবং মাথায় হেলমেট পরা ভারী অস্ত্র হাতে একজনকে দেখতে পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা হবেন।
‘এর পর দুটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পাই। এ ছাড়া হামলাকারী মুসল্লিদের প্রতি অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করছিলেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম- কিছু একটা ঘটেছে। এটা একটা খুনি।’
তিনি বলেন, মসজিদে হামলা হয়েছে বুঝতে পারার পর পরই আমি হাতের কাছে পাওয়া একটি ক্রেডিট কার্ড মেশিনকে অস্ত্র বানিয়ে ট্যারেন্টকে ধাওয়া করি। অস্ট্রেলিয়ান এ নাগরিক যখন ফের গুলি ছোড়েন মাথা বাঁচাতে আজিজ তখন দুই গাড়ির মাঝখানে আশ্রয় নেন।
আজিজ বলেন, ‘আমি তার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম, তার মনোযোগ যেন আমার দিকে থাকে।’ এরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তা তার গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে হামলার ৩৬ মিনিটের মধ্যেই তাকে আটক করেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ