ইরান আবারও বলেছে, দেশটি যুদ্ধ চায় না তবে যুদ্ধ বেধে গেলে দোষী ও নিরপরাধ উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কুয়েতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত ‘মোহাম্মাদ ইরানি’ কুয়েতি দৈনিক আর-রাই’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ইরান সব সময় মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছে। কারণ, যুদ্ধ কখনোই কোনো দেশের স্বার্থ রক্ষা করেনি।
মোহাম্মাদ ইরানি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের মতো কিছু ব্যক্তি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে এ অঞ্চলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে চান। কিন্তু তাদের জেনে রাখা উচিত যুদ্ধ শুরু হলে ভালো-মন্দ সব একসঙ্গে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
কুয়েতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত তার দেশের তেল রফতানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ইরানের তেল রফতানি বন্ধ হয়ে যায়নি। কারণ, বিশ্বের বহু দেশের সঙ্গে ইরানের সীমান্ত রয়েছে এবং কোনো কোনো দেশের কাছে তেল রফতানি অব্যাহত রয়েছে।
মোহাম্মাদ ইরানি বলেন, তার দেশের জনগণ ৪০ বছর ধরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলা করে এসেছে। এই মুহূর্তে কোনো বিদেশি ইরান সফরে এলে নিষেধাজ্ঞার যেমন কোনো প্রভাব দেখতে পাবে না তেমনি ইরানি নাগরিকদের মুখে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো উদ্বেগও লক্ষ্য করবে না।
বিডি প্রতিদিন/২০ মে ২০১৯/আরাফাত
