১৬ জুলাই, ২০১৯ ০৪:৩৫

আসামে ‘মিঞা কবিতা’ লিখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কবিরা

অনলাইন ডেস্ক

আসামে ‘মিঞা কবিতা’ লিখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কবিরা

কবি রেহানা সুলতানা

ভারতের আসামে মুসলমানদের বঞ্চনার কথা নিয়ে কবিতা লেখায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কবিরা। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন আসামের বহু চিন্তাবিদ ও শাসক দল বিজেপির নেতারাও। এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য পুলিশ এখন কয়েকজন কবিকে খুঁজছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, ‘মিঞা কবিতা’ নামে পরিচিত ওই কাব্যরীতি বছর কয়েক হলো চালু করেছেন আসামের বাংলাভাষী মুসলিমরা। কবিতাগুলোতে তারা আসামে তাদের সামাজিক বঞ্চনা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরছেন। আসামের রেহানা সুলতানা বেশ কিছুদিন হলো 'মিঞা কবিতা' লিখছেন, নানা জায়গায় আবৃত্তিও করছেন। উর্দুতে 'মিঞা' বলতে বোঝায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম ব্যক্তিকে, কিন্তু আসামে এই শব্দটি আসলে একটি বর্ণবাদী গালাগাল; যা অবৈধ অভিবাসীদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

তবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অপরাজিতা ভুঁইঞা বলেন, মিঞারা এই সব কবিতায় সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। সবাই জানে, এই মিঁয়াদের হাতেই রাজ্যে ধর্ষণ ঘটছে, অপরাধ বেড়ে চলেছে। তার পরেও আমরা তাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতেই দেখে থাকি। কিন্তু এরা এতো নির্লজ্জ, বাইরের জগতে একটা ভুল ছবি তুলে ধরার জন্য এসব আজেবাজে লিখে চলেছে।

উল্লেখ্য, আসামের বাংলাভাষী কিছু মুসলিম- যারা অনেকেই ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলের বাসিন্দা, তাদের ধর্মীয় ও ভাষাগত পরিচয়কে নতুন করে যেন আবিষ্কার করতে শুরু করেছেন এই মিঞা কবিতার হাত ধরে। ২০১৬ সালে প্রথম মিঞা কবিতা লিখেছিলেন হাফিজ আহমেদ। তার কবিতায় নেলির গণহত্যা থেকে ধর্ষিতা মুসলিম নারীর কাহিনী কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে উঠে আসে। মিঞা কবি হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াে গবেষক শালিম হোসেন। সেই হোসেন বলছিলেন, ইংরেজি-হিন্দির পাশাপাশি বিভিন্ন ডায়ালেক্টেও এই কবিতা লেখা হয়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর