সম্প্রতি পারস্য উপসাগর থেকে ইরান দু'টি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে বলে অভিযোগ করে ব্রিটেনের হুঁশিয়ারি, 'ইরানকে হয় ওই নৌযান ফেরত দিতে হবে, নতুবা পরিণতি ভোগ করতে হবে'। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা ব্রিটিশ পতাকাবাহী স্টেনা ইমপেরো নামের একটি জাহাজ জব্দ করেছে। তবে ব্রিটিশ পরিচালিত দ্বিতীয় তেল ট্যাংকার মেসদার জব্দ করা হয়নি। নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের পর জাহাজগুলোকে নিজস্ব রুটে সঠিকভাবেই চলতে দেয়া হচ্ছে। এদিকে, রবিবার এক টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, শতাব্দির যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রলুব্ধ করতে না পেরে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবার তার বিষাক্ত ফনা ব্রিটেনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। যাতে বিট্রেনকেও এই কঠিন সংকটের ভেতরে টেনে আনা যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহকারী রুটটিতে উত্তেজনার বৃদ্ধির সর্বশেষ ঘটনা হচ্ছে এই ট্যাংকার আটকের ঘটনা। জাবাল আল-তারিক প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হাতে একটি ইরানি তেলট্যাংকার জব্দ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর এমন ঘটনা ঘটেছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট দাবি করেন, এই জাহাজ জব্দ অগ্রণযোগ্য। নৌযান চলাচলের স্বাধীনতা অবশ্যই অপরিহার্য। সব নৌযান যাতে নিরাপদ ও স্বাধীনভাবে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।ইরান যদি জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ ফেরত না দেয়, তবে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার