আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমকে দিল্লির তিহার জেলে পাঠানো হল। বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হলে তাকে বিচারবিভাগীয় হাজতের আবেদন জানায় সিবিআই। এরপর আদালতের বিশেষ বিচারপতি অজয় কুমার কুহর তাতে মান্যতা দেন।
আদালতের নির্দেশ মেনেই চিদাম্বরমকে তিহার জেলে পাঠানো হচ্ছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৪ বছর বয়সী এই কংগ্রেস নেতাকে তিহার জেলের মধ্যেই থাকতে হবে সাবেক এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যায় কঠোর নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে তাকে তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
কারাগারে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে ওষুধ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিদাম্বরমের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হাইপ্রোফাইল তিহার জেলেই তার জন্য একটি পৃথক ঘর, শৌচাগার, বিছানা রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুই দিনের সিবিআই হাজত শেষে এদিন আদালতে তোলা হয় চিদাম্বরমকে। সিবিআইএর তরফে বলা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। সেই কারণে তাকে বিচার বিভাগীয় হাজতে পাঠানো উচিত। এরপর আদালত সেই আবেদনে মান্যতা দেওয়ার সাথে সাথেই তার বিরোধিতা করেন চিদাম্বরমের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল।
তিনি বলেন, চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করা বা সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রভাব খাটানোর এমন কোন অভিযোগ নেই। বিচার বিভাগীয় হাজতের বদলে তাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে পাঠানো হোক। চিদাম্বরম নিজেও আত্মসমর্পণ করতে রাজি এবং ইডি তাকে তাদের হাজতে নিতে পারে।
এদিন সন্ধ্যায় কারাগারে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে সাবেক এই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন ‘আমি কেবল দেশের অর্থনীতি নিয়েই উদ্বিগ্ন’।
উল্লেখ্য গত ২১ আগষ্ট রাতে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রীতিমতো পাঁচিল টপকে দিল্লিতে মন্ত্রীর জোর বাগের বাড়ি থেকে প্রবেশ করে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই’এর কর্মকর্তারা। এরপর থেকে গত পাঁচটি ধাপে মোট ১৫ দিন সিবিআই হাজতে কাটাতে হয় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ