সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার ঘটনায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানকে টেলিফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরব নিউজ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বিন সালমানকে টেলিফোন করে ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরবের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যে কোন পদক্ষেপে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, বিন সালমান ট্রাম্পকে বলেছেন- এই হামলার যথোপযুক্ত জবাব দিতে চাই আমরা এবং আমাদের সেই সামর্থ্যও আছে। তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী হামলার মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ইচ্ছা ও ক্ষমতা দুটোই সৌদি আরবের আছে’।
শনিবার সকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা হয়। এরফলে আগুন ধরে যায় কারখানা দুটিতে এবং তেল সরবরাহ অনেকাংশে বিঘ্নিত হয়।
ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাসা জানিয়েছে, সৌদি আরবের যে কোন পদক্ষেপে সহযোগিতা করতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। টেলিফোন আলাপে ট্রাম্প বলেন, এই হামলার ফলে শুধু সৌদি আরবই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
২০১৫ সালে শিয়া হাউছি সশস্ত্র গোষ্ঠি ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে। এরপর হাউছিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আররেব নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ। তবে হাউছিদের পরাজিত করা সম্ভব হয়নি। এরপর থেকে হাউছিরা প্রায়ই সৌদি আরবের ভূখণ্ডে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে চেষ্টা করে। শনিবারের হামলারও দায় স্বীকার করেছে এই গোষ্ঠিটি। হাউছিদের সরাসরি সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইরান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত