১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১০:৩১

পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন দেখছেন জয়শঙ্কর

অনলাইন ডেস্ক

পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণের স্বপ্ন দেখছেন জয়শঙ্কর

ফাইল ছবি

পাক অধিকৃত কাশ্মীর (Pakistan Occupied Kashmir) ভারতের অংশ বলে দাবি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “আমরা একদিন আক্ষরিক অর্থেই এর নিয়ন্ত্রণ আশা করি”। 

তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে মানুষ কী বলছে, তা সম্পর্কে “উদ্বিগ্ন” হওয়ার কোনও কারণ নেই, এবং নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অবস্থান রয়েছে এবং থাকবে। 

সাংবাদিক সম্মেলনে এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ, আমরা আশা করি একদিন নিয়ন্ত্রণাধীন হবে, কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ”। 

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান, তারমধ্যেই, কয়েক সপ্তাহ আগেই, জয়শঙ্করের মতো একই সুরে বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। 

দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদক্ষপের ফলে দেশের অন্যান্য জায়গার মতোই সুযোগ সুবিধা পাবে জম্মু ও কাশ্মীর। ভারতের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে পাকিস্তান, এবং বিষয়টিকে জাতিসংঘে নিয়ে যেতে চায় তারা।

৩৭০ ধারা নিয়ে পদক্ষেপের পর, যেভাবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে খবর করছে, তা নিয়ে প্রশ্নেরও উত্তর দেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “মানুষের নিজের মতবাদ প্রকাশের অধিকার রয়েছে। আমি খুব কম এরকম খবর দেখেছি, যেখানে বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা ছিল একটি অস্থায়ী আইন”।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে মানুষ কী বলছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। ১৯৭২ থেকেই ভারতের অবস্থান পরিষ্কার। আমার ক্ষেত্রে, আমার অবস্থান থাকবে। মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তারা অনেক কিছু বলে, কারণ, মানুষ বিশেষ সদস্যদের কাছে যায়, এবং যা বলার প্রয়োজন, সেটাই বলে”।

সোমবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, খুব দ্রুত তিনি ইমরান খান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বলেন, “অনেক অগ্রগতি হয়েছিল” বলে ভাবছিলেন তিনি।

রবিবার হাউস্টনে হাউডি মোদি অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “এটা শুধুমাত্র পাকিস্তান নয়...হাউস্টনের অনুষ্ঠান দেখবে গোটা বিশ্ব এবং দেখবে আমেরিকায় থাকা ভারতীয়রা কী পেয়েছে। অনেক কিছু বার্তা থাকবে সেখানে। এটা দেখার, পাকিস্তান কী চায়”।

পাকিস্তান ততক্ষণ পর্যন্ত একটি “অন্যতম চ্যালেঞ্জ” হয়ে থাকবে, যতক্ষণ না তারা “সফলভাবে” সীমান্ত-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে এবং “একটি স্বাভাবিক প্রতিবেশী হয়ে উঠছে”।

তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বে আমায় দেখান, এমন একটি দেশ আছে কিনা, যারা পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় নেয়”।

তাঁর কথায়, “পাকিস্তান শুধুমাত্র কথা বলছে, তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। আমাদের অবস্থান স্বাভাবিক এবং যুক্তিসঙ্গত। তাদের আচরণ, বিপথগামী এবং অস্বাভাবিক”।

সূত্র: এনডিটিভি

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর