১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০৪:৪৮

কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ

অনলাইন ডেস্ক

কে এই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ

চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন কলকাতার সন্তান অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি, তার স্ত্রী এস্তার দুফলো এবং মাইকেল ক্রেমার। দ্যা রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বৈশ্বিক দারিদ্র বিমোচনে তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই তিনজন অর্থনীতিবিদের গবেষণা দারিদ্রের সাথে লড়াইয়ের সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। 

একাডেমি বলছে, মাত্র দু'দশকে তাদের নতুন নিরীক্ষা ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকসে রূপ নিয়েছে, যা এখন গবেষণার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি পড়াশোনা করেছেন ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি পিএইচডি করেছেন ১৯৮৮ সালে।

এখন কাজ করছেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, যা এমআইটি নামে বিশ্বে বহুলভাবে পরিচিত। সেখানে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর হিসেবে অর্থনীতি পড়াচ্ছেন। ২০০৩ সালে তিনি এসথার ডুফলো ও সেন্ধিল মুল্লাইনাথানকে সাথে নিয়ে আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মিস্টার ব্যানার্জি জন্মগ্রহণ করেছেন ১৯৬১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি।

১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন হার্ভার্ড থেকে। অন্যদিকে ফরাসী ও মার্কিন নাগরিক এস্তার দুফলো হলেন গত ৫০ বছরে দ্বিতীয় নারী যিনি অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন।

এর আগে ২০০৯ সালে এলিনর ওসট্রম নোবেল জিতেছিলেন। তবে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ীদের মধ্যে দুফলোই সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৭২ সালে প্যারিসে জন্মগ্রহণ করা এস্তার দুফলো এখন এমআইটিতে কর্মরত আছেন। তবে মাইকেল ক্রেমার কাজ করছেন হার্ভার্ডে। এমআইটিতে আব্দুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এসথার দুফলো ইতিহাস ও অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন প্যারিসে। পরে এমআইটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন তিনি ১৯৯৯ সালে। তিনি আমেরিকান ইকনোমিক রিভিউর সম্পাদক।

বিনায়ক ব্যানার্জি এসথার দুফলোর স্বামী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ২০১৫ সালে মিস্টার ব্যানার্জি দুফলোর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ওদিকে মাইকেল ক্রেমার হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিভাগে গেটস প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলো। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ইয়াং গ্লোবাল লিডারও মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।

অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি, এসথার দুফলো এবং মাইকেল ক্রেমার - এই তিনজনই অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন এবং বেশ কিছু বইয়ের লেখক। যৌথভাবে নোবেল পাওয়াতে পুরষ্কারের অর্থ হিসেবে নব্বই লক্ষ সুইডিশ ক্রোনার এখন তাদের মধ্যে সমবন্টন করা হবে। এর আগে ভারতীয় বাঙালিদের মধ্যে অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছিলেন অমর্ত্য সেন। আর বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল জিতেছিলেন শান্তিতে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর