১৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০৫:৫২

কাশ্মীরে পোস্টপেইড চালুর নামে চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

কাশ্মীরে পোস্টপেইড চালুর নামে চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে

প্রায় আড়াই মাস পরে অবমেষে জম্মু-কাশ্মীরে চালু হল পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা। সোমবার মোবাইল সংস্থাগুলোকে ওই পরিষেবা চালু করার অনুমতি দিয়েছে ভারতের রাজ্য সরকার। কয়েক দিনের মধ্যে ইন্টারনেটও চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তবে কাশ্মীর বাসিন্দারা বলছেন, পোস্টপেইড চালুর নামে চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে। মানুষের সমস্যা এক ফোঁটাও কমেনি। অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, কাশ্মীরে এখন ১ হাজার মানুষ বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৮০০ জন পাথর ছোড়ায় অভিযুক্ত।

এ নিয়ে আজ ৭১ দিনে উঠল কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা। পোস্টপেইড চালু হলেও এখনও বন্ধ প্রিপেইড মোবাইল ও ইন্টারনেট। এসএমএস করা যাচ্ছে কেবল বিএসএনএল পোস্টপেইড মোবাইল সংযোগ থেকে। এতে সমস্যা বিশেষ মিটবে না বলেই দাবি অধিকাংশ শ্রীনগরবাসীরই। কারণ, কাশ্মীরের  বেশির ভাগ মানুষেরই প্রিপেইড ফোন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৮০ লক্ষ মোবাইল সংযোগ রয়েছে কাশ্মীরে। তার মাত্র ১৬ লক্ষ পোস্টপেইড। বাকি ৬৪ লক্ষ প্রিপেইড। শ্রীনগরবাসীদের দাবি, উপত্যকায় উচ্চবিত্ত বা প্রভাবশালীরাই সাধারণত পোস্টপেইড মোবাইল ব্যবহার করেন। ফলে আম জনতার সমস্যা মিটল না। ইন্টারনেট চালু না হলে সমস্যা মিটবে না। শ্রীনগর মহিলা কলেজের ছাত্রী সীমিনা জহাঙ্গীরের কথায়, ‘এটা চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের সমস্যা এক ফোঁটাও কমল না।’ পোস্টপেইড মোবাইল গ্রাহকেরাও স্বস্তিতে নেই। প্রায় দু’মাস পরিষেবা বন্ধ থাকলেও তাদের যথারীতি বিল মেটাতে হবে। বিল বকেয়া থাকায় অনেকের ফোনে ‘আউটগোয়িং’ কল বন্ধ রয়েছে।

তবে রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘তরুণ-তরুণীরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারছিল না। এখন আর অসুবিধা নেই।’ সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ কাশ্মীর চালু হয়েছে পোস্টপেইড পরিষেবা। পুরনো শ্রীনগরের বাসিন্দা বাশারত আহমেদ এক ঘণ্টায় সেরে ফেলেছেন অন্তত ৩০টা ফোন। খবর নিয়েছেন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের।

কাশ্মীর নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পদক্ষেপের পক্ষে এ দিনও সওয়াল করেছেন অমিত শাহ। তার বক্তব্য, ‘কাশ্মীরে এখন ১ হাজার মানুষ বন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮০০ জনের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।’ অমিতের দাবি, বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে যাতে কাশ্মীরবাসীকে উস্কানি দিয়ে গোলমাল পাকানো না হয়, সে জন্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল। তার দাবি, ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনার আগে তাকে গৃহবন্দী করা হয়নি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভি।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর