১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১০:৪০
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

রাজ্যসভায় আজ বিল পাশের পরীক্ষা অমিত শাহদের, প্রস্তুত বিরোধীরাও

অনলাইন ডেস্ক

রাজ্যসভায় আজ বিল পাশের পরীক্ষা অমিত শাহদের, প্রস্তুত বিরোধীরাও

মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। আজ রাজ্যসভায় তা পাশ করানোর পরীক্ষা অমিত শাহদের। তবে লোকসভার মতো ‘ফাঁকা মাঠ’ রাজ্যসভা নয়। সেখানে শাসক শিবির ও বিরোধীদের সংখ্যার ব্যবধান অনেক কম। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিরোধীরাও।

রাজ্যসভার মোট আসন ২৪৫। বর্তমানে সংসদ সদস্য রয়েছেন ২৪০ জন। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য অমিত শাহদের প্রয়োজন ১২১টি ভোট। এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় বিজেপির নিজস্ব সংসদ সদস্য-সংখ্যা ৮১। আর সব মিলিয়ে এই বিলের পক্ষে রয়েছেন ১২৮ জন। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র সাত জন বেশি। অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষে রয়েছে ১০৯টি ভোট। ব্যবধান কম হওয়ার চিত্রটি যে কোনও সময়ে পাল্টে যেতে পারে।

বিজেপির চিন্তা আরও বাড়িয়েছে শিবসেনা। লোকসভায় শিবসেনা নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ভোট দিলেও, রাজ্যসভার ভোটে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের দাবি, ‘‘শিবসেনার এক শীর্ষ নেতাও জানিয়েছেন রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা করবেন তারা। সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিবসেনা নেতা।’’

মহারাষ্ট্র থেকে বিলের বিরোধিতার ইঙ্গিত মিলেছে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের গলাতেও। তিনি বলেছেন, ‘‘বিল ঘিরে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।’’ তবে শিবসেনাকে নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও শরিক জেডিইউ, অকালি এবং অগপ পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। এনডিএ-র বাইরে থাকলেও বিলকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে বিজু জনতা দল। 

প্রথম মোদী সরকারের একেবারে শেষ পর্বে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে নাগরিকত্ব বিল সংসদে পেশ করে সরকার। সে সময়েও এ বারের মতো লোকসভায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার অংক পক্ষে না থাকায় বিলটি পেশ করার ঝুঁকি নেয়নি সরকার। এবার সংখ্যা অনুকূল হলেও কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে শেষ মুহূর্তে বেশ কিছু ছোট দলকে পাশে পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

অন্য দিকে, পাল্টা লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিরোধীরা। বিশেষ করে টিআরএস লোকসভায় বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। একা তৃণমূলই বিলে ২০টি সংশোধনীর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় ৩৩৪-১০৬ ভোটে সরকার জিতলেও, রাজ্যসভায় দুই শিবিরের ব্যবধান কম হওয়ায় লড়াই প্রবল হওয়ার আশঙ্কা করছে দু’পক্ষই। 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর