গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের সংসদে পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা)।
এরপর শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, এই দিন থেকেই দেশজুড়ে এই আইন কার্যকর করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, শিখ, জৈন) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। যদিও এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে গত প্রায় একমাস যাবত ভারতজুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখিয়ে আসছে বিরোধীরা। এই আইনের বিরোধিতা করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানও।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দিল্লির দিকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভেদের অভিযোগ এনেছেন। ভারত সরকার ও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির তরফ থেকে ইমরানের অভিযোগের পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, আইনে ভারতীয় মুসলিমদের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। এবার উত্তর প্রদেশের বিজেপির এক বিধায়ক পাকিস্তানকে পরামর্শ দিলেন ভারতে নির্যাতনের শিকার হওয়া মুসলিমদের ফিরিয়ে নিতে তারাও যেন এই আইন চালু করে।
উত্তরপ্রদেশের খাতোলী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি শুক্রবার বলেন, "পাকিস্তানেরও উচিত ভারতের মতো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করা এবং ভারতে নির্যাতিত মুসলিমদের পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেওয়া। আপনারা অদল-বদল করে নিন। পাকিস্থানে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছে তাদের ভারতে চলে আসা উচিত, আর ভারতে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছে তাদের পাকিস্থানে যাওয়া উচিত। তাদেরকে কে বাধা দিচ্ছে?"
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করায় বিরোধী দলগুলিকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তার অভিযোগ ছিলো কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি পাকিস্তানের ভাষাতেই কথা বলছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন