উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। বরং উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রালয়ের উপদেষ্টা কিম কায় গাওয়ান বলেন, কিম ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে পছন্দ করেন। কিন্তু তা বলে তিনি ট্রাম্পের কথা শুনে দেশ চালাবেন, এটা যেন কেউ না ভাবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি উত্তর কোরিয়ার শর্ত না মানে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাও সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যতদিন উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বাতিল না করছে, ততদিন নিষেধাজ্ঞা তোলা সম্ভব নয়। তখনই দুই দেশের আলোচনা ভেস্তে যায়। এখন ইরানের সঙ্গে প্রায় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে উত্তর কোরিয়াকে শান্ত রাখতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তাই কিমের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে পরিস্থিতি নিজের দিকে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও হল না।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে কিম কায় গাওয়ান বলেন, নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুললে আমাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করব না। আমাদের শর্ত পুরোপুরি মানলে তবেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হতে পারে।
অন্যদিকে, জানুয়ারির শুরুতেই কিম সুর চড়িয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়া এবার থেকে একটি ‘কৌশলগত অস্ত্র’ তৈরি করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে কিনা তা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের ওপরে।’
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ