ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এমনটিই জানিয়েছে দেশটি। তবে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয়ই বা কী সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি তারা।
ইরানের বিচারবিভাগীয় মুখপাত্র গোলামহোসেন ইসমাইলি বলেন, “পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চালোনোর পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
দু’দিন আগেই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ আদালত গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই এ দিন গ্রেফতার করা হয় কয়েকজনকে। রুহানি বলেন, গোটা বিশ্ব এই বিচারের সাক্ষী হতে চলেছে। আশ্বাস দিচ্ছি, আগামী দিন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য বলেও ব্যাখ্যা করেছেন রুহানি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইরান প্রশাসন পুরো দায়িত্ব নিয়েই এই ঘটনার তদন্ত করবে। যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার। রুহানি বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করা সরকারের একটা ভালো পদক্ষেপ।
বিমান দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার পরই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ইরান সরকার। প্রথম থেকেই তারা অস্বীকার করে আসছিল ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়নি বিমান। কিন্তু পশ্চিমী দেশগুলো এ নিয়ে ক্রমাগত চাপ দেয়ায় শেষমেশ সত্যটা সামনে আনে ইরান। সঙ্গে এই বার্তাও দেয়, ভুলবশতই এমনটা ঘটেছে। এই স্বীকারোক্তির পরই জ্বলে উঠে তেহরান। কেন সত্যটা চেপে যাচ্ছিল সরকার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাজার হাজার মানুষ তেহরানের রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও ওঠে। প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ বিচারবিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
গত ৮ জানুয়ারি ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে তেহরান থেকে কিয়েভের উদ্দেশে যাচ্ছিল ইউক্রেনের বোয়িং ৭৩৭ বিমান। তেহরান থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ইরান সেনার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভেঙে পড়ে সেটি। বিমানের সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত