২০ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:৪৯

'আইএইএ'র সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ইরান'

অনলাইন ডেস্ক

'আইএইএ'র সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে ইরান'

'ইউরোপ যদি পরমাণু সমঝোতা নিয়ে মতবিরোধ নিরসনের জন্য ম্যাকানিজম ‘মশে’ চালু করে তাহলে ইরানও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র সাথে সহযোগিতার বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।' 

ইরানের সংসদ মজলিশে শূরায়ে ইসলামির প্রধান আলী লারিজানি সংসদের প্রকাশ্য অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন। তিনি ইউরোপের পক্ষ থেকে ম্যাকানিজম 'মশে' চালুর হুমকির তীব্র সমালোচনা করেন।

জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন গত ১৪ জানুয়ারি ব্রাসেলসে এক যৌথ বিবৃতিতে পরমাণু সমঝোতা নিয়ে মতবিরোধ নিরসনের ম্যাকানিজম ‘মশে’ চালুর ঘোষণা দেন। গতকালের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউরোপ যদি ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় তাহলে ইরানও আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যাতে পাশ্চাত্য বিশেষ করে পরমাণু সমঝোতায় সইকারী দেশগুলো এটা বুঝতে পারে যে ইরান কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করবে না।

আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান এক বছর পর্যন্ত ধৈর্য ধরে বাকি দেশগুলোকে ইরানের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার সময় দিয়েছে। ইরান পরমাণু সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতি স্থগিত রেখেছে তবে বেরিয়ে যায়নি। কিন্তু তারপরও পাশ্চাত্য ইরানের বিরুদ্ধে বে-আইনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এমনকি খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতেও বাধা দিচ্ছে। 

ইউরোপ এখন পর্যন্ত পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো অবস্থান নেয়নি। এরপরও তারা এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছে যখন পরমাণু সমঝোতাকে তারা নিজেরাই অচল করে রেখেছে। ইউরোপের উচিত ইরানের বিরুদ্ধে বিবৃতি না দিয়ে নিজেদের স্বাধীনচেতা নীতি বজায় রেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিজেদের আন্তরিকতা প্রমাণ করা।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গত জুমার নামাজের খুতবায় বলেছেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে ইউরোপের ওপর আস্থা রাখা যায় না এবং তারা কোনো কাজই করবে না। বরং এখন এটা প্রমাণিত হয়েছে ইউরোপ আমেরিকার সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। ইউরোপ আমাদেরকে নতজানু করতে চায় কিন্তু তাদের এটা জেনে রাখা উচিত সবচেয়ে বড় শক্তি অর্থাৎ আমেরিকা পারেনি আমাদেরকে নত করতে আর ইউরোপতো দূরের কথা।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ ইউরোপের ওই তিনটি দেশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা ইচ্ছা করলে পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করতে পারে। ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি না করে তাদের উচিত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান ধীরে ধীরে নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে ইউরোপকে এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে ইরানের অধিকারকে অস্বীকার করা হলে তাদেরকেও  এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। তারা যদি ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাকানিজম 'মশে' চালু করে তাহলে ইরানও আইএইএর সাথে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর