পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিকে জানিয়েছে যে, উত্তেজনা কমানোর বল ভারতের হাতে।
জিও টিভিকে দার বলেন, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী এবং উত্তেজনা কমাতে প্রস্তুত, তবে এর শর্ত হচ্ছে—ভারতকে অবশ্যই যে কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ভারত উত্তেজনা বাড়ায়, তবে পাকিস্তান তার চেয়ে জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ফলে উত্তেজনা প্রশমনের দায়ভার মূলত ভারতের ওপর বর্তায়।
ইসহাক দার বলেন, ‘আমরা পাল্টা জবাব দিয়েছি। কারণ, আমাদের ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে ভারত এখানেই থামলে আমরাও তা বিবেচনায় নেব।’
পাকিস্তানের এই ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ আমাদের অগ্রাধিকার নয় এবং আমরা সত্যি শান্তি চাই; তবে সেটা যে কোনো দেশের আধিপত্য ছাড়া।
তিনি জানান, শনিবার সকালে রুবিও, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার আলাপ ইতিবাচক ছিল, তিনি আশা করছেন ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।
এই বক্তব্য এমন সময় এল যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও কাশ্মীরে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। উভয় দেশই হামলা ও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক মহল এ উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে পাকিস্তান।
পরবর্তীতে নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে ভারতেও হামলা চালায় পাকিস্তান। দেশটির সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারগুলোয় অভিযান চালিয়েছে।
সূত্র : জিও টিভি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ