আপাতত স্বস্তি ভারতের জন্যে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবে ভোটাভুটি আপাতত মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। সিএএ নিয়ে মার্চ মাস পর্যন্ত কোনো ভোটাভুটি হবে না। এ ঘটনাকে কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে ভারত।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনি শাখা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হোক বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, বারবারই সরব হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা।
ভারতের অভিযোগের আঙুল অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য শাফাক মোহাম্মদের দিকে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের ব্রিটিশ সদস্য শাফাক মোহাম্মদ জন্মসূত্রে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের। তিনিই এই প্রস্তাবের অন্যতম কারিগর। গোটা বিষয়টির পেছনে ইসলামাবাদের পরোক্ষ মদত রয়েছে বলেও মনে করে ভারত।
মোট দশটি ভাগে ভাগ করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যেরা তাদের পর্যবেক্ষণ এবং মতামত জানিয়েছিলেন ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবে। পার্লামেন্টের ছ’টি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আনা এই প্রস্তাবটিতে বলা হয়, ‘ভারত সরকারকে এই মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে যে সেখানকার ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে।’
১৫৪ সদস্যের প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অফ সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস, ১৮২ সদস্যের ইওরোপিয়ান পিপলস ডেমোক্র্যাট, ৪১ সদস্যের ইউরোপিয়ান ইউনাইটেড লেফ্ট ও নর্ডিক গ্রিন লেফট, ৭৫ সদস্যের ইউরোপিয়ান ফ্রি অ্যালায়েন্স, ১০৮ সদস্যের রিনিউ ইওরোপ গ্রুপ মোট ছ’টি প্রস্তাবে সমর্থন জানায়। প্রতিটি প্রস্তাবই সিএএ বিরোধী। সেখানে সিএএ-কে ‘অমানবিক’ বলেও ব্যাখ্যা করা হয়।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথা বলা উচিত নয়। কারণ তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশের অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে। আপাতত এই ভোটাভুটি পিছিয়ে যাওয়ায় কূটনৈতিকভাবে নিজেকে আরও সংহত করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে ভারত। সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন