করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করছে গোটা বিশ্বকে। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ দেশই নির্দেশিকা জারি করেছে, বন্ধ হয়েছে চীনে আসা-যাওয়া, চালু রয়েছে হেল্পলাইন নম্বর।
চীন এখন মৃত্যুপুরী। ভাইরাস একদিকে কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক প্রাণ অন্যদিকে সংক্রামিত হচ্ছে আরও বেশী মানুষের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে ৩২৪ জন প্রথম ভারতীয়দের দলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রওনা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। উহান থেকে সরাসরি নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছবে ওই বিমানটি।
৪২৩ আসনের এয়ার ইন্ডিয়ার একটি জাম্বো বিমান তৈরি রাখা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৪৭-এ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ৩২৪ জন ভারতীয়দের দলটিকে। চীনে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ পেড়িয়েছে।
চীনে আটকে রয়েছেন বাংলার ২ গবেষক। চীনের উহানে তারা আটকে আছেন। এই দুই গবেষক পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান, বীরভূমের বাসিন্দা। ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র সরকার। অর্থাৎ উহান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে প্রস্তুত বিশেষ বিমান।
বোয়িং ৭৪৭ বিমানে মাস্ক, গ্লাভস, স্ক্যানার সবই রয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক এবং ইঞ্জিনিয়রদের টিম। আজ গভীর রাতেই ইউহান থেকে ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে দিল্লিতে ফেরার কথা বিমানটির। চিকিৎসকদের বিমান থেকে না নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক আসনে জলের পাউচ আর খাবারের প্যাকেট রাখা রয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাদের রক্তে করোনার জীবাণু নেই, শুধুমাত্র তাদেরই এই বিমানে জায়গা দেয়ার।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ত্রিশূরের এক মেডিক্যাল ছাত্র । গত সপ্তাহেই ইউহান থেকে ফেরে ওই ছাত্র। তার অবস্থা স্থিতিশীল। আজ, শুক্রবার ইউহান থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর কাজ শুরু হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই ইউহান থেকে ফিরেছেন। তখনও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এতটা মারাত্মক আকার নেয়নি। দেশে ফেরার ১২ দিন পর জানা গেল,করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেরলের যুবক। আক্রান্ত ছাত্র ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আপাতত তাকে হাসপাতালে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন।
ওই শিক্ষার্থী যে করোনা আক্রান্ত সেকথা মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কেরলে একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। তার রক্ত পরীক্ষায় করোনার উৎসর্গ মিলেছে করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থী আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কেরলের ২টি হাসপাতালে ৬জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
করোনা নিয়ে সতর্কতা বন্দরেও। কলকাতা ও হলদিয়ায় বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। জাহাজ থেকে বন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করা হবে। তারপরই বন্দরের অন্যত্র ঢুকতে দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত