ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে গেল নেপাল। বৃহস্পতিবার নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় সভা'তেও (National Assembly) পাশ হয়ে গেল নতুন মানচিত্র বিল।
ভারতের তিনটি ভূখণ্ড উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। বিতর্কিত সেই মানচিত্রে এদিন সবুজ সংকেত দিল নেপালের সংসদের উচ্চকক্ষ। পরবর্তী পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে নেপালের সমস্ত রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাজে নতুন মানচিত্র ব্যবহৃত হবে।
গত শনিবার নেপাল সংসদের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ জনপ্রতিনিধি সভায় নতুন মানচিত্র বিল পাশ হওয়ার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উত্তরাখণ্ডের যে তিনটি অঞ্চলকে নেপালে এখন নিজেদের বলে দাবি করছে তার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই বলে সেদিনই সাফ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। পাশাপাশি ওই অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার নেপাল সংসদের জাতীয় সভা বা উচ্চকক্ষে সর্বসম্মতভাবে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়ে যায়। সে দেশের জাতীয় প্রতীকে (National Emblem) নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র অন্তর্ভূক্ত করার জন্য নতুন বিল আনা হয়েছে। এ দিন ভোটাভুটির সময় সভায় উপস্থিত ৫৭ জনের সকলেই বিলটিকে সমর্থন করেন।
গত ৮ মে লিপুলেখ গিরিপথ থেকে কৈলাস মানস সরোবরে যাওয়ার নয়া ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পরেই ভারত এবং নেপালের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এই রাস্তা উদ্বোধনের প্রতিবাদ জানায় কাঠমান্ডু। এরপরই নতুন মানচিত্র প্রকাশে উদ্যোগী হয় তারা। নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, সীমান্ত নিয়ে কাঠমান্ডুর সাম্প্রতিক এই অতিসক্রিয়তার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে চীন। কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নেপালের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। তারই ফলশ্রুতিতে ওলি সরকারের এই সক্রিয়তা বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এই সময়
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত