সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রিয়াদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের বেশ অবনতি ঘটেছে পাকিস্তানের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে রিয়াদে পাঠিয়ে সম্পর্কের তিক্ততা কমানোর চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
কিন্তু তার সেই উদ্যোগ কোনো কাজেই এলো না। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখাই করলেন না সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
পাক সেনাপ্রধানের সফরে সৌদির উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক হয়। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সাক্ষাৎ পাননি জেনারেল বাজওয়া। তবে বৈঠক করেছেন সৌদি আরবের সেনাপ্রধান জেনারেল ফাইয়াদ বিন হামিদ আল-রওয়ালির সঙ্গে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সৌদির উষ্ণ প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদের বিরল সমালোচনার পর রিয়াদের তিক্ততা লাঘব করতেই এই সফর।
চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি প্রভাবিত ওআইসির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাউন্সিল আয়োজনে সময় নষ্ট না করতে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরাইশি।
হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ওআইসি যদি ওই কাউন্সিল আয়োজনে ব্যর্থ হয়, তবে কাশ্মীর ইস্যুতে যেসব দেশ আমাদের সমর্থন করছে, তাদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করবো। সেটা ওআইসি কিংবা অন্য যে কোনো ফোরামের মাধ্যমে হতে পারে।
কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছে না সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি।
পাকিস্তান এমন অভিযোগ তোলার পর ইসলামাবাদকে দেয়া ঋণ ও জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রিয়াদ; যা দুই মিত্র দেশের সম্পর্কের অবনতির নতুন মাইলফলক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
গত সোমবার রিয়াদ সফরে যান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। দু’দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া তিক্ততা কাটানোর জন্য মঙ্গলবার তিনি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি যে মন্তব্য করেছিলেন, সে বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি সৌদি আরব যেন পুরনো চুক্তি ফের বহাল করে, সে জন্য অনুরোধও জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পাক সেনা প্রধানের সেই আহ্বানে সাড়া দেননি সৌদির যুবরাজ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন