২৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:৩৫

চাঞ্চল্যকর তথ্য, শুধু ভূখন্ড পেতে চীন সীমান্ত বিরোধ জিইয়ে রাখছে তা কিন্তু নয়!

অনলাইন ডেস্ক

চাঞ্চল্যকর তথ্য, শুধু ভূখন্ড পেতে চীন সীমান্ত বিরোধ জিইয়ে রাখছে তা কিন্তু নয়!

চীন-ভারত ১৯৬২-এর যুদ্ধ এবং লাদাখ অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কৌশলগত বিশেষজ্ঞ বার্টিল লিন্টনার লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে চীন অভিযোগ তুলে থাকে যে, তার ভূখন্ড জবরদখল করা হয়েছে, ওটা ফেরত দিতে হবে। ‘ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও’ ভঙ্গি করতেই থাকে। এসব দেখে মনে হতে পারে, ন্যায্য দাবি জানানো হচ্ছে। ব্যাপারটি সব সময় তা নয়।

‘এশিয়া টাইমস’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে বার্টিল লিন্টনার আরও বলেছেন : শুধু নিজের ভূখ- ফিরে পাওয়ার জন্য চীন সীমান্ত বিরোধ জিইয়ে রাখছে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। বেইজিং অনুশৃত পররাষ্ট্রনীতির বিশেষ উপাদানগুলোর একটি হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে ব্যাপক ভিত্তিক ‘ছাড়’ কব্জা করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত সম্পর্ক তেতো করে রাখো। সমাধান করছি করছি বলে সমস্যাটা জিইয়ে রাখো।

বিরোধ তৈরির জন্য ছুতো তৈরি করাটাও মজাদার। নেপালের সঙ্গে চীনের বিরোধ তৈরি হয় হিমালয়ের শৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা নিয়ে। নেপাল বলে, এর উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার আর চীন বলে, ৮৮৪৪ মিটার। বিষয়টি তেতো করার মতলবে সীমান্তে নেপালের মাটিতে ১১টি দালান তুলেছে চীন। শুরু হলো সীমান্ত বিরোধ।

অরুণাচল প্রদেশ কার? সারা দুনিয়া বলবে, ভারতের। শুধু চীন বলছে, ‘ওটা আমাদের।’ কমিউনিস্ট দুনিয়ার মাতব্বরি নিয়ে মানসিক সংঘাত চলছিল বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে। পেশিশক্তি জাহির করার অজুহাত দরকার। তাই, ১৯৬৯ সালে উসুরি নদীর কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করে চীন। ফলত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধও হয় চীনের। 

লিন্টনার লিখেছেন, ইদানীং বিস্ময়কর একটি দাবি উচ্চারণ করছে চীন। বলছে, রাশিয়ার ভøাদিভোস্তক শহরটি একদা ছিল চীনের। তখন এ শহরের নাম ছিল ‘হাইশেনওয়াই।’


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর