ঋণ সহায়তার টাকা নিয়ে সৌদি আরবে সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। সৌদি আরবের দেওয়া তিনশত কোটি ডলার ঋণ নিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানের। ওই ঋণ দফায় দফায় শোধ করার কথা থাকলেও পাকিস্তান তাতে অপারগতা প্রকাশ করে।
প্রথম দিকে তা রিয়াদ মেনে নিলেও এবার সাফ জানিয়ে দেয়- তারা তাদের অর্থ ফেরত চায়। একদিকে দেশটির অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়, তার ওপর করোনাভাইরাস মহামারি। সব মিলে নাজুক এক অবস্থায় পৌঁছে যায় পাকিস্তান। কিন্তু রিয়াদের চাপে পড়ে তারা হাত বাড়ায় চীনের দিকে। এগিয়ে আসে চীন। পাকিস্তানকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয় তারা।
সেই অর্থ থেকে এরই মধ্যে ১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে সৌদি আরবের ঋণের। এটা ছিল মোট ৩০০ কোটি ডলারের দ্বিতীয় কিস্তি। এখন শেষ কিস্তি অর্থাৎ ১০০ কোটি ডলার বাকি আছে। আগামী মাসে সেই অর্থ শোধ করার কথা রয়েছে। ওই ঋণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে নিয়োজিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ বিন সাঈদ আল মালিকি সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে।
বৈঠকের পর ইমরান খানের অফিস থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রতি জোরালো দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ যে সম্পর্ক বিদ্যমান তাকে আরো শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ডনের প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আলোচনায় সৌদি আরবের দেয়া ঋণের বিষয় উল্লেখ করা হয়। গত সপ্তাহে পাকিস্তান তার দ্বিতীয় কিস্তি ১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। এই ঋণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ভূরাজনৈতিক মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে অনেকেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে অস্বস্তিকর হিসেবে দেখেছেন।
২০১৮ সালে পাকিস্তান ‘ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ক্রাইসিসে’ ভুগছিল। তাদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছরের জন্য ওই বছর ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেয় সৌদি আরব। ওই সময় তেল খাতে আরও ৩২০ কোটি ডলার ঋণ সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু প্রথম বছর পরে তারা তা বন্ধ করে দেয়। সূত্র: ডন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর