শিরোনাম
১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:৩৮

'প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানের চেয়ে ভারতীয় তেজস উন্নত'

অনলাইন ডেস্ক

'প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানের চেয়ে ভারতীয় তেজস উন্নত'

ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধান আরকেএস বাদুরিয়া বলেছেন, প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানের চেয়ে ভারতীয় তেজস অনেক বেশি কার্যকরী ও উন্নত। বালাকোটের মতো হামলার জন্য তেজস বেশি কার্যকরী হবে বলে জানান ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান। তিনি বলেছেন, শুধু যুদ্ধবিমান নয়, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ‘অস্ত্র’ ও অন্যান্য আরও বেশি ব্যবহার করা হবে।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে জেএফ-১৭ থান্ডার বানানোর ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়। আর তা বানানোর খরচ দুই দেশ সমানভাবে দেওয়ার কথা। সে অনুসারে, অল্প খরচে, অল্প ওজনের এবং সব ধরনের আবহাওয়ার জন্য উপযোগী করে বিমানটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। পশ্চিমা এভিয়নিক্স এর সরঞ্জাম, চীনের বিমানের কাঠামো এবং রাশিয়ার ক্লিমোভ আরডি ৯৩ অ্যারো-ইঞ্জিন ব্যবহার করে জেএফ-১৭ বিমান বানানো হয়।

চীনের প্রত্যাশা ছিল এটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান হবে। তবে শেষ পর্যন্ত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানটি অল্প খরচে বানানোর জন্য ভালোমানের হয়নি। অথচ, এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারের খরচ আধুনিক বিমানের তুলনায় অনেক বেশি।

জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান তৈরিতে পাকিস্তানের অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এর ৫৮ শতাংশ অংশ নেওয়ার কথা, তবে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। বিমান তৈরির কাঁচামাল থেকে শুরু করে নির্মাণ সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করে পাকিস্তান। 

এর মধ্যে কেবল বিমানের পাখা, সামনের অংশের কাঠামো এবং লেজ তৈরি করে পিএসি, তার পরেও এগুলোর কাঁচামাল আসে চীন থেকে। আর পুরো বিমানটির বেশিরভাগ অংশ চীনের, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউরোপ এবং ব্রিটেন থেকে আসে। পিএসি'তে বিমানটির অবয়ব দেওয়া হলেও এর বেশিরভাগ অংশই তৈরি হয়ে আসে চীনের সিএআইসি থেকে।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর