যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভালো করেই জানেন যে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছে তিনি কতটা ঋণী। আর এই ঋণের প্রতিদান হিসেবেই সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ মন্ত্রিসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি, যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের ‘নজিরবিহীন’ প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা বলেছিলেন। অবশ্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথেই আছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রথম মন্ত্রিসভাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দুইশ’ বছর আগে জর্জ ওয়াশিংটন প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন। যদিও এ নামে তখন বৈঠক ডাকা হয়নি।
তবে বৈঠক কক্ষে সবাই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ।
অবশ্য প্রথম প্রেসিডেন্ট তার উপদেষ্টাদের মূল্যবোধকে বিবেচনায় নিয়েছিলেন যারা তাকে গুরুত্বপুর্ণ ইস্যুতে পরামর্শ দেবেন এবং আলোচনার টেবিলে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা নিয়ে আসবেন।
আর ২০২১ সালে এসে আমেরিকা প্রথম আদিবাসী আমেরিকানকে পেল কেবিনেট সেক্রেটারি হিসেবে।
একই সাথে দেশটিতে ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের ডিরেক্টর হিসেবে যেমন একজন নারীকে পেল তেমনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি চিফ হিসেবে পেল প্রথম কোনও ল্যাটিনোকে।
আবার কেবিনেট সদস্যের মধ্যে একজন সমকামীও রয়েছেন।
প্রচলিত ঘরানার সুপরিচিত রাজনৈতিক মুখের পরিবর্তে আমেরিকাকে যথাযথ প্রতিফলিত করে এমন সব পক্ষকে সমন্বয় করার একটি চাপ তৈরি হয়েছিল জো বাইডেনের ওপর।
বাইডেন নিজের মন্ত্রিসভা ও হোয়াইট হাউসের অনেক শীর্ষ পদের জন্য কৃষ্ণাঙ্গদের বেছে নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতিনির্ধারণী পরিষদের পরিচালক হিসেবে বাইডেন বেছে নেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী সুসান রাইসকে, যিনি বারাক ওবামার সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত আর্মি জেনারেল লয়েড অস্টিনকে নিয়েছেন বাইডেন। অস্টিনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ নারী জানেট ইয়েলেনকে রাখা হয়েছে ট্রেজারি বিভাগের দায়িত্বে।
প্রথম হিস্পানিক হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় জাভিয়ের বেকেরা। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক হিস্পানিক আলেজান্দ্রো মায়োর্কাস।
এছাড়া প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সেসিলিয়া রোসে। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কৃষ্ণাঙ্গ থমাস-গ্রিনফিল্ডকে বেছে নিয়েছেন বাইডেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম