ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে মার্কিন আইন প্রণেতাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার নির্দেশেই তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান তুলে মার্কিন সংসদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ট্রাম্পপন্থীরা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া চলাকালীন এমনটাই অভিযোগ ডেমোক্র্যাটদের।
গত মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারির ৯) থেকে থেকে মার্কিন সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় অভিশংসন মামলা শুরু হয়েছে। আগেই অভিশংসন প্রক্রিয়ায় সবুজ সংকেত দেয় মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। এবার সিনেটে চলছে সেই প্রক্রিয়া। ট্রাম্পের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী ব্রুস এল কাস্টর জুনিয়র ও ডেভিড সোয়েন। গত সোমবার এই মামলায় ৭৮ পৃষ্ঠার দলিল দাখিল করেন তারা। সেখানে দাবি করা হয়, এই মামলা ট্রাম্পের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের পরিপন্থী।
তাছাড়া, ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তাই সাংবিধানিকভাবে অভিশংসন প্রক্রিয়া অর্থহীন। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। ক্যাপিটল সহিংসতার বেশ কিছু ফুটেজ প্রকাশ করেছেন তারা, সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে উন্মত্ত জনতাকে রুখতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।
এদিকে, ওয়াশিংটনে থেকে এক হাজার মাইলের চেয়েও বেশি দূরে বসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্বাসিত, তাই নিজের বক্তব্য গোটা বিশ্বকে জানানো আর অতটাও সহজ নয়। ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোয় বিলাসবহুল রিসর্টের টিভিতেই অভিশংসন মামলা দেখছেন ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথের দিন এই রিসর্টে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। তারপর আর এখান থেকে নড়েননি। বের হওয়া বলতে প্রতিদিন গলফ খেলা। মঙ্গলবার সেখানেও যাননি ট্রাম্প। ‘ওয়াশিংটন এগজামিনার’-এর রিপোর্ট, চুপচাপ টিভিতে মামলা দেখেছেন তিনি। যদিও অন্যান্য সূত্রের খবর, ট্রাম্প মোটেও খুব একটা শান্ত নেই। ‘পলিটিকো’ বলছে, তার আইনি দলের নিয়ন্ত্রিত প্রচেষ্টায় ক্রমশ মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে মামলার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ডেমোক্র্যাটরা যখন ক্যাপিটল তাণ্ডবের ভয়াবহ ভিডিও দেখায় এবং তার জবাবে তার আইনজীবীরা বিশেষ কিছুই বলেননি। ট্রাম্পের আইনজীবীরা অবশ্য সেনেটের মামলাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, এটা ‘রাজনৈতিক নাটক’ ছাড়া কিছুই নয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম